বন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রাম এসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কুমিল্লার কিশোরী
মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্রে এক বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম আসেন ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। কিন্তু অপরিচিত শহরে নেমেই পড়েন প্রতারক চক্রের হাতে। সাহায্যের কথা বলে বন্ধুকে বেঁধে রেখে ওই কিশোরীকে দুই দফায় দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের পাহাড়তলী রেলস্টেশন ও দক্ষিণ খুলশী এলাকায় দুই দফায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবুল কালাম নামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালককে আটক করেছে পুলিশ।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্রে বন্ধুর সঙ্গে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে এসে প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলস্টেশনে নামেন ওই তরুণ ও কিশোরী। পথ না চেনার কারণে তারা পাহাড়তলী থেকে ঝাউতলা রেলস্টেশনে আসেন। সেখানে তাদের দেখতে পেয়ে এক যুবক এসে পথ চেনানোর কথা বলে এক পাশে নিয়ে যান। সেখানে তারা চারজন ছিলেন। পরে তার মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে চলে যেতে বলেন।
তারা দুজন রেলস্টেশন থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য পথ খুঁজতে থাকেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশার একচালক এসে তাদের কাছে গন্তব্য জানতে চান। সব ঘটনা বলার পর চালক তাদের বটতলী রেলস্টেশন নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গাড়িতে তোলেন। প্রায় এক ঘণ্টা তাদের ঘুরিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ খুলশী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান। রাত হয়ে যাওয়ায় কুমিল্লার ট্রেন পাবেন না, তাই রাতটি সেখানে থাকতে বলেন। একপর্যায়ে সেখানে আরও তিনজন আসেন।
কিশোরীর বন্ধুকে পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে চারজন ধর্ষণ করেন কিশোরীকে। কয়েক ঘণ্টা পর তাদের বের করে দেওয়া হয়। রাস্তায় একপর্যায়ে সাহায্যের আশায় দাঁড়িয়ে থাকলে আরেক ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক এসে বিস্তারিত জানতে চান। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের কথা বলে আবার সেখানে নিয়ে যান। পরে আরেকজনকে ডেকে নিয়ে পুনরায় দুজন কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এএজেড/এমএইচআর/এএসএম