ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ
৫ আগস্ট কাশিমপুর থেকে পলাতক মজনু গ্রেফতার
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মজনুকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) খিলক্ষেত থানা পুলিশ। তিনি গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কাশিমপুর কারাগারে হামলার সময় পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পেছনে রেললাইনের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মজনুকে গ্রেফতারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় পালিয়ে আত্মগোপনে যায়। এ ঘটনায় গাজীপুর কাশিমপুর থানায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন তার বাবা। ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়।
পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার তিনদিন পর মজনুকে (৩০) গ্রেফতার করে র্যাব।
মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাকে শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ শুধুমাত্র মজনুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
টিটি/এমএএইচ/এমএস