যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে টাকা আত্মসাৎ

চট্টগ্রামে রেল কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যন্ত্রপাতি সরবরাহ না করে প্রায় এক কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দুই ঠিকাদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুটি করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আহসানুল কবীর পলাশ।

এক মামলায় চারজনকে এবং অন্য মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দুটির বিষয় জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাৎ।

দুদকে দায়ের হওয়া ২৫ নং মামলায় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। ওই মামলাতে আসামি বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ফরিদ আহমেদ (৫৫), সাবেক অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে বেজার উপ-সচিব) মুহাম্মদ রাশেদুল আমিন (৪৮), রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী তাপস কুমার দাস (৪৮) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির স্বত্ত্বাধিকারী এ এস এম ইকবাল মোর্শেদ (৪৬)। মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক উভয়ে লাভবান হওয়াসহ প্রতারণামূলকভাবে মালামাল সরবরাহ না করে সরকারের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ২০২১ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট পর্যন্ত এসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে ২৬ নং মামলায় ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭২৩ দশমিক ৫০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়। মামলায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৪৮), রেলভবন ঢাকার সাবেক পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম (৫০), রেলওয়ে পাহাড়তলী অফিসের সাবেক প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. রুহুল কাদের আজাদ (৬০), জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পি-২) মো. রাহিদ হোসেন (৩৭), সাবেক সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক-পি-২ (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন (৬১), সাবেক সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সদর) মো. এমদাদুর রহমান (৬২), সাবেক এডব্লিউএম/ডিএল এতেসাম মো. শফিক (৩৪) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স দি কসমোপলিটান কর্পোরেশন এর স্বত্ত্বাধিকারী নাবিল আহসান (৪২)-কে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে জালজালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র পরিবর্তন করে, ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক উভয়ে লাভবান হওয়াসহ প্রতারণামূলকভাবে মালামাল সরবরাহ না করে ভুয়া মালামাল সরবরাহ-ক্রয়ের রেকর্ডপত্র সৃষ্টি করে সরকারের ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

২০২০ সালের ৮ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত এসব অনিয়মের ঘটনা ঘটে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এমডিআইএইচ/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।