প্রগতির কাছে পাওনা টাকা আদায়ে সংবাদ সম্মেলন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এস আর ট্রাক্টরসের স্বত্বাধিকারী সামসুল হুদা

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র গাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কাছে পাওনা টাকা আদায়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এস আর ট্রাক্টরস।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী সামসুল হুদা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে তিন কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাওনা না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি এই পাওনা টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে লিখিতভাবে জানানো, উকিল নোটিশ পাঠানো এবং পত্রিকায় মানবিক আবেদন প্রকাশ করেছি। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি কোনো সাড়া দেয়নি।

সামসুল হুদা বলেন, প্রগতির শুরু থেকেই আমি অন্যতম এজেন্ট ও ডিলার হিসেবে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নানান কারণে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং বন্ধের উপক্রম হয়। সে সময় প্রতিষ্ঠানটি দেনা পরিশোধ ও ট্যাক্স সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়ে লে-অফ হওয়ার পথে ছিল। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক এবং বিদেশি মুদ্রার অপচয় ঠেকাতে আমি আন্তরিকভাবে কাজ করেছি। আমি বিআরটিসি এবং সরকারের অন্য দপ্তরকে তখন বোঝাতে সক্ষম হই, বিদেশ থেকে সরাসরি গাড়ি আনলে দেশের মোটা অংকের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হয়। সে কারণে প্রগতির মাধ্যমে গাড়ি নিলে একই মানের গাড়ি অনেক কম মূল্যে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, এ উদ্যোগের পরে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রি ও সরবরাহ বেড়ে গিয়ে তা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি এস আর ট্রাক্টরস থেকে সে সময় জোরপূর্বক চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ৮৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন। টাস্কফোর্স তদন্ত করে সে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করে।

এরপর ভয়ভীতির তোয়াক্কা না করে সে মামলায় আদালতে আমি রাজসাক্ষী হিসেবে সব সত্য বিষয় তুলে ধরি। ওই মামলায় তৈমূর আলম খন্দকারের সাজা হয়, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এ ঘটনার মাধ্যমে সততার নজির স্থাপিত হয়।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিআরটিসিতে মিনিবাস, বাস ও ট্রাক মিলিয়ে মোট ৫৪৭টি গাড়ি বিক্রি করে প্রগতি। এসব গাড়ির কার্যাদেশ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পক্ষে সংগ্রহ করা, ডেলিভারি বা রিসিভ করা এবং সার্ভিস ওয়ারেন্টির জন্য নির্দিষ্টহারে কমিশন নির্ধারিত হয়। সব দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করলেও সে বাবদ প্রাপ্ত কমিশন আজও বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে প্রগতির কাছে আমার পাওনা তিন কোটি ৭৩ লাখ পাঁচ হাজার ১২০ টাকা।

এ সময় তিনি নিজের আর্থিক কষ্টের কথা উল্লেখ করে সুবিচার প্রার্থনা করেন।

এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।