দুদকের মামলা

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার অবৈধ আয়ে কোটিপতি স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর অবৈধ আয়ে কোটিপতি হয়েছেন তার স্ত্রী জেসমিন আকতার। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ আয়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক। মামলায় ১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন এবং ২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় এবং এসব অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে তার স্বামী লেয়াকতের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ উপপরিচালক আতিকুল আলম।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আলোচিত এস আলমের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্পের জায়গা কেনাবেচা, শ্রমিক সরবরাহসহ নানাভাবে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন লেয়াকত আলী। লেয়াকত বর্তমানে বাঁশখালীর ৯ নম্বর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এবং পরে জেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। গত মাসে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে জেসমিন আকতারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর জেসমিন আকতারকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দুদক। চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন লেয়াকতপত্নী।

তার জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই করে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৬২ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার প্রমাণ পায় দুদক।

দুদকে জমাকৃত সম্পদ বিবরণীতে কোনো অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা না দিলেও তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ৮০ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৩ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পায় দুদকের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। একইসঙ্গে ২ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৬২ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় দুদক।

মূলত লেয়াকত আলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে নিজের অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে তার স্ত্রী জেসমিন আকতারের নামে সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।