চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-রেহানার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের একটি আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলিউল্লাহর আদালতে মামলার আবেদন করেন শ্রমিকদলের নেতা মোস্তফা জামান।

মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চসিকের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান ও জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।

বাদীর আইনজীবী বখতেয়ার উদ্দীন বলেন, ‘আদালত মামলাটি নগর পুলিশের বাকলিয়া থানাকে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।'

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২ আগস্ট দুপুরে জুমার নামাজ শেষে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকায় মামলার বাদী মোস্তফা জামান ও তার মেয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে অংশ নেন। মিছিলটি বাকলিয়া সরকারি কলেজের সামনে গেলে অভিযুক্তদের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৩০০ থেকে ৪০০ নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র, কিরিচ, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় মোস্তফা জামানের মেয়েসহ অনেকেই গুরুতর আহত হন।

পরে মোস্তফা জামানের মেয়েসহ পাঁচজনকে আটকে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। না হয় তাদের খুন করে গুম করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি ও হামলার অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ২৬৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন আন্দোলনে গুলিতে আহত মো. ফরহাদ নামে এক ব্যক্তি।

এএজেড/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।