শূন্য পদে দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন চান ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা
শূন্য পদের বিপরীতে দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন জারি এবং বদলি চালু না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি না দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণ-বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এনটিআরসিএ গণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সুপারিশ করে আসছে। তাই ২য় ও ৩য় গণ-বিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী নিজ এলাকায় পোস্ট না থাকায় বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবার জন্য দেশের এক এক প্রান্ত প্রাক্ত থেকে অন্যপ্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন।
কিন্তু গত ২৭ আগষ্ট শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে বদলি প্রজ্ঞাপনের স্মারকলিপি প্রদান করলে শিক্ষকদের যোক্তিক দাবি হিসেবে তিনি তা মেনে নেন এবং শূন্য পদের বিপরীতে বদলি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত শূন্যপদের বিপরীতে বদলির প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আমরা সব শিক্ষক অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।
সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা আদেশ দেওয়ার পরও কেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিপত্র জারির বিষয়ে গড়িমসি করছেন, বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকরা তা স্পষ্ট জানার পাশাপাশি দ্রুত প্রজ্ঞাপন চায়। দ্রুত প্রজ্ঞাপন না হলে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হঁশিয়ারি দেন তিনি।
বদলি প্রত্যাশী শিক্ষকরা নিজেদের সমস্যা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকদের বদলি না থাকায় একজন শিক্ষককে তার পেশাগত জীবনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। ১২হাজার ৫০০ টাকা বেতন উত্তোলন করে বাসা ভাড়া এবং কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে যেমন জীবন অতিবাহিত করতে হয়। পাশাপাশি স্থানীয় প্রধান শিক্ষক এবং স্থানীয় শিক্ষকদের রোষানলে পড়ে মানসিক কষ্ট নিয়ে চাকরি করতে হয়। এমনকি আমাদের অনেকে আছেন, স্বামী এবং স্ত্রী চাকরির সুবাদে দুইজন দুইপ্রান্তে আছেন, কিন্তু শূন্য পদে বদলি ব্যবস্থা না থাকায় একে অপরের মাঝে মনোমালিন্য পারিবারিক অশান্তি থেকে শেষে ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াচ্ছে। যদি ৭ নং ধারা চালু থাকতো তাহলে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের নিজ এলাকায় যেতে পারতেন। দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে শূন্য পদের বিপরীতে বদলি চালু হলে সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হবে না।
তাই দ্রুত বদলির প্রজ্ঞাপন জারি এবং বদলি চালু না হওয়া পর্যন্ত যে কোন বিশেয় বিজ্ঞপ্তি বা ৬ষ্ঠ বিজ্ঞাপ্তি না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দাবি জানান তারা।
আরএএস/এসআইটি/জেআইএম