‘দাদা’ শম্ভুর ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ, অনিয়ম-দুর্নীতির সাম্রাজ্য

সাইফুল হক মিঠু
সাইফুল হক মিঠু সাইফুল হক মিঠু
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু

বরগুনার মানুষ তাকে ডাকেন ‘দাদা’ নামে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ছিলেন বরগুনার মুকুটহীন সম্রাট। এই দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বরগুনা-১ সংসদীয় আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করেছেন সাতবার। তার মধ্যে ২০০১ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ছাড়া প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছেন। বছরের পর বছর ধরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী এ নেতা ও তার পরিবারের ইশারায় আবর্তিত হয়েছে বরগুনার উন্নয়ন প্রকল্প ও রাজনীতি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প সবখানে শম্ভু পরিবার কায়েম করেছেন ত্রাসের রাজত্ব। পরিবারটির বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। যদিও বিগত দিনে তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি কেউ। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। এরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গা ঢাকা দেন। গত এক মাসেও খোঁজ মেলেনি দোর্দণ্ড প্রতাপশালী পাঁচবারের সংসদ সদস্য এমপি শম্ভুর।

সম্প্রতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উন্নয়ন প্রকল্প, কাবিখা, কাবিটা এমন কোনো জায়গা নেই যেখান থেকে টাকা নিতেন না শম্ভু। জানা গেছে, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিট শম্ভুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে। এছাড়া শম্ভু তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের নামেও গড়েছেন অঢেল সম্পদ। এসব বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার চেষ্টা করলেও বন্ধ পাওয়া যায় মোবাইল ফোন নম্বরটি।

শম্ভু পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ৫০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।- দুদক উপপরিচালক

জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শম্ভু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক কারবারের অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে ৫০০ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র জানায়, শম্ভু ও তার পরিবারের অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধান করতে গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও ১৬ পৃষ্ঠার অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে দুদক।

টিআর, কাবিখা, কাবিটার টাকা যেতো শম্ভুর পকেটে
২০২১ ও ২০২২ সালে ছোট-বড় প্রায় ৪৩২টি প্রকল্প থেকে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন শম্ভু। এ সংক্রান্ত নথি জাগো নিউজের সংগ্রহে এসেছে। নথি সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বরগুনা সদর আসনের তিনটি উপজেলায় সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ১৮১টি প্রকল্পে তিন কিস্তিতে এক কোটি ১৪ হাজার ৬৬৬ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ওই সময় বরগুনা-১ (সদর-আমতলী-তালতলী) আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন শম্ভু। ১৮১টি প্রকল্পের মধ্যে ১৮টি প্রকল্পে কিছু কাজ হলেও বাকিগুলোতে কোনো কাজ না করেই টাকা উঠিয়ে নেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক এমপি শম্ভুর পছন্দের লোকজনই ছিল ওইসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে। মূলত টাকা ভাগাভাগি নিশ্চিত করতেই তাদের পরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয় প্রকল্পগুলোর কাজ। ওই সময় বরগুনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম আহাদ সোহাগের ভাইরাল হওয়া এক অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, প্রকল্পের বরাদ্দ প্রশ্নে সংসদ সদস্য শত্রুকে অর্ধেক টাকা দিয়ে তারপর আনতে হয় কাজ। বাকি টাকা ভাগাভাগি হয় প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা লোকজনের মধ্যে। যে কারণে মাঠ পর্যায়ে আর কাজ করার টাকা থাকে না।

‘দাদা’ শম্ভুর ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ, অনিয়ম-দুর্নীতির সাম্রাজ্য

আরও জানা যায়, তার পরের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরেও ঘটে একই ঘটনা। ওই বছর টিআর, কাবিখা এবং কাবিটার আওতায় ২৮০টি প্রকল্পে বরাদ্দ আসে সংসদ সদস্যের নামে। এর মধ্যে ২৩৩টি টিআর প্রকল্পে এক কোটি ৭৫ লাখ ৯৯৯ এবং ৪৭টি কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পে এক কোটি ৩৯ লাখ ৯২৪ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরগুনা সদর-আমতলী ও তালতলী উপজেলায় আসা এসব উন্নয়ন প্রকল্পের একটিতেও কোনো কাজ না করে পুরো টাকা তুলে নেন শম্ভু সংশ্লিষ্টরা। আমতলী সরকারি কলেজ মাঠে বালি ফেলার প্রকল্প দেখিয়ে দুই লাখ টাকা লোপাট করা হলেও ওই মাঠে এক ঝুড়ি বালিও ফেলা হয়নি। একই ঘটনা ঘটে ওই আসনের নূরুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং আমতলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠের ক্ষেত্রেও।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না সাবেক সংসদ সদস্য শম্ভু। টিআর, কাবিখা, কাবিটা আর ৪০ দিনের কর্মসূচির নামে কোটি কোটি টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয় এমপি ও তার লোকজনের মধ্যে। প্রশাসনের মদতে ঘটেছে এসব অনিয়ম। শম্ভুর ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে তখন মুখ খোলেননি কেউ।

জানতে চাইলে বরগুনা জেলার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা কাদের জাগো নিউজকে বলেন, উনি (এমপি শম্ভু) এখানে দীর্ঘদিন ধরে সংসদ সদস্য ছিলেন। তখন কেউ তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেননি, কোনো তদন্তও হয়নি। তবে এই অনিয়মগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হওয়া উচিত। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

তখন কেউ তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেননি, কোনো তদন্তও হয়নি। তবে এই অনিয়মগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হওয়া উচিত। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।- জেলা সুজন সম্পাদক

তিনি বলেন, তিনি (ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু) নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করতেন। কিন্তু আমার জানা মতে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, প্রভাব খাটিয়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না।

ত্রাসের রাজত্ব গড়েন শম্ভু পরিবার
নথিসূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুন মাসে বরগুনা সদরের একটি প্রকল্পের এক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন শম্ভু। আবার একই বছর চাল ও গম বিতরণের ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।

অভিযোগ আছে, শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ বরগুনায় মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। বরগুনায় মাদক চোরাচালানের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেন সুনাম। মাদক কারবারের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড এবং কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন বন্ডের ক্রসফায়ারের ঘটনাও এই মাদকের কারণেই হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

বরগুনা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ ফরাজী জাগো নিউজকে বলেন, সংসদ সদস্য থাকাকালীন শম্ভুর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে তখন প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।

শম্ভু ও তার পরিবারের যত সম্পদ!
বিগত ১৫ বছরে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৬ গুণ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় শম্ভু নিজ নামে দুই লাখ এবং স্ত্রীর নামে ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৪ টাকা তথ্য দাখিল করেছেন।

এছাড়া হলফনামায় সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজ নামে ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৪৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭৬ লাখ ২৪ হাজার ৫১৪ টাকা দেখিয়েছেন তিনি।

দুটি গাড়ির দাম বাবদ এক কোটি পাঁচ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৬ টাকা এবং নিজের ও স্ত্রীর নামে ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের ২০ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩০ হাজার, ৩০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেখিয়েছিলেন শম্ভু।

ওই হলফনামা অনুযায়ী, তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি, ৯ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, জমি ক্রয় বাবদ অগ্রিম জমা চার লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ১২৪ টাকা মূল্যের দুটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

এর আগে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসিতে দেওয়া হলফনামায় ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু আইন পেশা থেকে ব্যক্তিগত আয় দেখিয়েছিলেন দুই লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় হলফনামায় ব্যক্তিগত আয় দেখান ২৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৩৬ টাকা। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছেন ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৮ টাকা।

‘দাদা’ শম্ভুর ছিল দোর্দণ্ড প্রতাপ, অনিয়ম-দুর্নীতির সাম্রাজ্য

সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় হলফনামা অনুযায়ী, আইন পেশা, ব্যাংক সুদ ও এমপি সম্মানী থেকে আয় শম্ভুর আয় দেখানো হয় ৫৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৩১ টাকা। জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে দাখিল করা এসব হলফনামা নিজের আয় হিসাবে পরামর্শক, সংসদ সদস্য হিসেবে বেতন-ভাতা এবং স্ত্রীর ব্যবসাকে দেখানো হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, আইনজীবী হিসেবে শম্ভুকে খুব একটা দেখা যায়নি আদালতে।

অভিযোগ আছে, এসব সম্পদের বাইরে আরও সম্পদ রয়েছে শম্ভু পরিবারের। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জমি, অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে তাদের। ভারতে রয়েছে একাধিক বাড়ি।

১৫ বছরে শম্ভুর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ২৬ গুণ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসিতে দেওয়া হলফনামায় শম্ভু নিজ নামে দুই লাখ এবং স্ত্রীর নামে ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। নিজের নামে ব্যাংকে জমা ৩ কোটি ৩০ লাখ ৮০ হাজার ৩৯২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে দেখিয়েছেন ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৪ টাকা

সূত্র বলছে, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পদের প্রায় পুরোটাই করেছেন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও বেনামে। রাজধানীর গুলশানে তিন হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে শম্ভুর। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং প্রিয়প্রাঙ্গণে রয়েছে স্ত্রী-কন্যাসহ পরিবারের সদস্যদের নামে ৪টি প্লট। এক হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে মধ্য বাড্ডায়। নিজেরসহ স্ত্রী-সন্তানদের নামে রয়েছে চারটি বিলাসবহুল গাড়ি। বরগুনা মহাসড়ক এলাকায় এক একরেরও বেশি জমি কিনেছেন ছেলে সুনাম দেবনাথ।

বরগুনার তালতলী উপজেলার ৪২ নম্বর মৌজার বড় নিশানবাড়ি ৪০৪ নম্বর খতিয়ানে এই পরিবারটির নামে রয়েছে ১৭ দশমিক ৫২ একর জমি। গাজীপুরে রয়েছে নিজস্ব জমিতে পোশাক কারখানা। আমতলী পৌরসভা এলাকায়ও জমি রয়েছে শম্ভুর।

সরকারি ও মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
সরকারি সম্পত্তি এবং সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি ও মন্দিরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগও রয়েছে সাবেক এমপি শম্ভুর বিরুদ্ধে। বরগুনা শহরে ঢুকতেই প্রধান সড়কের পাশে রয়েছে তার আলিশান বাসভবন। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা পরিষদের সামনে থাকা দৃষ্টিনন্দন পুকুরের সিংহভাগ দখল ও ভরাট করে ওই বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। চারদিকে দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখার পাশাপাশি পুকুরের অংশে পাইলিং করে আটকে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে যায়, সরকারি অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তি কাজে না লাগায় আইনি প্রক্রিয়ায় তা অবমুক্ত করার পর সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেন শম্ভু। অভিযোগ আছে, ওই বিশাল বাগানবাড়ির মধ্যে অনেক সংখ্যালঘুর জমি রয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ির মধ্যে একসময় মদন মোহন জিউর আখড়া বা মন্দির ছিল বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।

এসএম/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।