পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনসমাজ

সম্পদ লুণ্ঠনকারীরা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে পারে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়া ও রাষ্ট্র মেরামতে বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে নতুন নাগরিক সংগঠন ‘পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনসমাজ’।

এর মধ্যে রয়েছে- সংবিধানের ব্যাপক ও মৌলিক পরিবর্তন বা পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ গঠন; কোনো ব্যক্তি একাধারে প্রধানমন্ত্রী, সংসদ নেতা, দলীয় প্রধান হতে পারবেন না; কোনো ব্যক্তি ১০ বছরের বেশি দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পদক সম্পাদক থাকতে পারবেন না; কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদ বা সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী ও ব্যাংকের টাকা-রাষ্টীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ বন্ধ করতে হবে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন সংগঠনের নেতারা। ‘পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনসমাজ’ শীর্ষক এই নাগরিক সংগঠনটি স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সংগঠনের সমন্বয়ক আবুল হাসিব খানের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ডা. সামনুন এফ তাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আরিফুর রহমান।

রাষ্ট্র মেরামত ও সংস্কারের বেশকিছু পদক্ষেপ তুলে ধরে মূল প্রবন্ধে ড. আরিফুর রহমান বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, শোষণহীন, প্রগতিশীল, কল্যাণময় রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। স্বপ্নপূরণে বাংলাদেশ হতে হবে কল্যাণময় রাষ্ট্র। একে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক রাষ্ট্র বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার উন্নতির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ বাহিনীর যেসব সদস্য এখনো কাজে যোগদান করেননি বা যারা ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত, তাদের পদে বিশেষ করে সিপাহি পদে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করতে হবে। সৎ ও দক্ষ বিচারক নিয়োগ ও পদায়ন করে বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে হবে। এছাড়া উচ্চ দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতির জন্য সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে। দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে এনে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে। অর্থপাচার ও ব্যাংকের অর্থআত্মসাতের টাকা দ্রুত ফেরত আনার পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন করার কথা জানানো হয়। তারা আরও যেসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তার মধ্যে রয়েছে- জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি অঞ্চল, জেলা, নগর এবং শ্রেণি, পেশা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে উচ্চকক্ষ গঠন; অর্থআত্মসাৎ ও পাচারকারীদের সম্পদ অধিগ্রহণ; সব সরকারি কর্মচারীর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়া; বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও গতিশীল করা; ব্যাংকিং, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরে আনা; সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও শিল্প কারখানায় সৎ ও দক্ষ ব্যবস্থাপক নিয়োগ; বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ; সমতা ও ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নদীসমূহের পানি বণ্টন সম্পাদন করা।

এমওএস/ইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।