সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ এবং বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির অনুসন্ধানের আওতায় থাকা অপর ব্যক্তি হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ টানা সাতবার (১৯৯১ থেকে ২০২৪) মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েও বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান তৈরি এবং চা বাগানে রাস্তার লাইট ও ডিপ টিউবওয়েল সরকারি খরচে স্থাপনসহ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনাসহ স্ত্রী-সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। তার স্ত্রীর নামে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বগুড়া-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবর রহমান। সাবেক এই এমপির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে এবং স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে কাজ সম্পন্ন না করিয়ে অর্থ উত্তোলন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ আছে, সাবেক মন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত সহকারী নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের এবং স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
এসএম/এমকেআর/জিকেএস