হত্যা মামলায় শাজাহান খানের ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান/ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রাজধানীর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোতালিব নামের এক কিশোর হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, গত ৪ আগস্ট জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মোতালিব নামের কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ২৭ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা রুজু করেন। প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও এজাহারে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং শাজাহান খানসহ ১৭৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ শুক্রবার শাজাহান খানকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ধানমন্ডি মডেল থানার ওসি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেফতার করা হয় বলে বলে জানান ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।

শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। শাজাহান খান ১৯৮৬ সালে প্রথমবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাদারীপুর-২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

একই আসন থেকে পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শাজাহান খানকে ২০০৯ সালে নৌপরিবহনমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

শাজাহান খান ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম অ্যাডভোকেট মৌলভী আচমত আলী খান এবং মা তজন নেসা বেগম। তার বাবা ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী ও জাতীয় সংসদের সদস্য।

বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে সমালোচিত শাজাহান খান

শাজাহান খান বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্য ও অবস্থানের কারণে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও বিতর্কের মুখে পড়ে তা প্রত্যাহার করেন। এছাড়া ২০১৬ সালে পরিবহন খাতে অনিয়মের জন্য তাকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ দাবি করা হয়েছিল।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর মন্ত্রীর করা মন্তব্য সমালোচিত হয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে এবং সড়কে নৈরাজ্য দূরীকরণের জন্য নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন সময় তার দোষী চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে নমনীয় থাকার অভিযোগেও তাকে অনেকে অভিযুক্ত করে থাকেন।

শাজাহান খানের সহধর্মিণী সৈয়দা রোকেয়া বেগম একজন কলেজ প্রভাষক। তার বড় ছেলে আসিব খান আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং তার একমাত্র মেয়ে ঐশী খান টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের স্ত্রী।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।