চট্টগ্রাম বন্দরে চালান আটক
গার্মেন্টস ফেব্রিক্সের বদলে আনা হয় মদ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গার্মেন্টস ফেব্রিক্স এক্সেসরিজ হিসেবে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে মদের চালান আমদানির চেষ্টা করা হয়। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে একটি কনটেইনারভর্তি মদের চালান আটক করা হয়। ওই কনটেইনারে এক হাজার ১১৪ কার্টনে বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া যায়। মদের চালানটি চীন থেকে আমদানি করা বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
মদের চালান আটকের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার একেএম খাইরুল বাশার।
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস ফেব্রিক্সের মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড চালানটি আমদানি করে। গোপন খবরের ভিত্তিতে মদের চালানটি আটক করা হয়। পরে পরীক্ষা শেষে এতে ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চীন থেকে আমদানি করা একটি কনটেইনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানটি আমদানি করে নারায়ণগঞ্জের আদমজি ইপিজেডের সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড নামের একটি রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান। চালানটি খালাসের দায়িত্ব পায় চট্টগ্রামের গোলবাগ এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।
পরে কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা চালানটির রপ্তানিকারক দেশ, ওয়েবসাইট, পণ্যের তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসায়ের ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা বিশ্লেষণ করে চালানটিতে মিথ্যা ঘোষনার মদের চালান আমদানির বিষয়ে ধারণা পায়।
এরপর বুধবার দিনগত রাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় কনটেইনারটি ফোর্স কিপডাউন করা হয়। এরপর কনটেইনারটিতে কায়িক পরীক্ষা করে ১ হাজার ১১৪ কার্টন মদ পাওয়া যায়। এরমধ্যে জ্যাক ডেনিয়েলস, টিচার্স, স্মাইরনফ, ভ্যালেটাইনস, পাসপোর্ট স্কচ, চিভাস রিগাল, ফোর্ট স্ট্রিট, হান্ড্রেড পিপার্স, রেপেডস, এবসলিউট ভদকা এবং ব্ল্যাক লেবেল ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায়।
কাস্টমস জানিয়েছে, আটক মদের চালানের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। এর বিপরীতে সরকারি প্রায় ১২ কোটি টাকার রাজস্ব রয়েছে। মিথ্যা ঘোষণায় ওই ১২ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়। চালানটি আমদানি এবং খালাসে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
এমডিআইএইচ/এসএনআর/জিকেএস