এস আলমের গাড়িকাণ্ড

ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনা হলো বিএনপি নেতা মনজুরকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৫:০৫ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিএনপি নেতা মনজুরুল আলম চৌধুরী

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতার বাড়ির গ্যারেজ থেকে এস আলমের গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় সেই বিএনপি নেতা মনজুরুল আলম চৌধুরীকে সৌদিগামী একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই বিএনপি নেতাকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের মদিনাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে আনা হয়।

পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিলেও তিনি আর ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। বিমানের বিজি-১৩৭ ফ্লাইটটি বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে উড্ডয়নের কথা থাকলেও কিছু বিলম্বে ৬টা ২২ মিনিটে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আবদুল্লাহ আলমগীর বলেন, মদিনাগামী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। ওই ফ্লাইটে করে স্ত্রীসহ মদিনায় যেতে আগেই চড়ে বসেন মনজুরুল আলম চৌধুরী নামের এক যাত্রী। এ সময় এক গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ফ্লাইট থেকে ওই তাকে নামিয়ে আনা হয়। পরে তাকে আর ফ্লাইটে যেতে দেওয়া হয়নি। তাকে ছাড়াই ফ্লাইটটি দেরিতে ৬টা ২২ মিনিটে ছেড়ে গেছে।

এর আগে নগরীর জামাল খান এলাকার ওই বিএনপি নেতার বাড়ির গ্যারেজ থেকে এস আলম গ্রুপের একটি গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটির নম্বর চট্ট–মেট্রো ঘ-১১-৫৩৪৪। বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, জব্দ গাড়িটি এস আলমের মালিকানাধীন সোনালী লজিস্টিকসের নামে নিবন্ধন করা। এছাড়া ঠিকানা হিসেবে নগরীর আসাদগঞ্জ এস আলম ভবনের প্রধান কার্যালয় দেওয়া আছে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জামাল খান এলাকার একটি ভবনের নিচে পার্কিং করে রাখা এস আলমের একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, মনজুরুল আলম চৌধুরী বহুতল ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। জব্দ গাড়িটি ছাড়াও সেখানে আরও দুটি গাড়ি ছিল। পুলিশ যাওয়ার আগে এগুলো সরিয়ে ফেলা হয়।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরীর কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বের করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়াকে দল থেকে শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব সন্তুষ্টজনক না হওয়ায় দল থেকে তাদের তিনজনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এরও আগে গত ২৮ আগস্ট এস আলম গ্রুপের আরেকটি গাড়িতে চড়ে কক্সবাজারের পেকুয়ার নিজ এলাকায় সংবর্ধনায় এসে সমালোচনার মুখে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।

এমডিআইএইচ/ইএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।