অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির

রাজউকের নিচের স্তরের কর্মচারীরা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) প্লট বাণিজ্য বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ।

তিনি বলেন, রাজউক থেকে একটি প্ল্যান পাস করাতে হলে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিছনে ঘুরতে হয়। বিশেষ করে রাজউকের নিচের শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা রাজউকে অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া তৈরি করেছেন। এই হয়রানি বন্ধে প্ল্যান অনুমোদনে স্থপতিদের যুক্ত করতে হবে। এতে নাগরিকদের ভোগান্তি কমবে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 'অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের প্রত্যাশা এবং জনস্বার্থ' শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট।

খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, রাজধানীর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জন্মলগ্ন থেকে প্লট বাণিজ্য করে আসছে। বিষয়টা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে আছে যে, বাণিজ্যই যেন তাদের একমাত্র কাজ। অথচ ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়তে তাদের ভূমিকা বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ। তাই রাজউকের প্লট বাণিজ্য বন্ধ করা উচিত। রাজউককে ঢেলে সাজানো উচিত। বৃহৎ জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

রাজউক এই শহরকে ঝুঁকিপূর্ণ বানিয়েছে জানিয়া খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, ঢাকা শহরের অধিকাংশ সড়ক ছোট। কিন্তু রাস্তার দুপাশে বড় বড় ভবন গড়ে উঠেছে। আবার ভবনের সামনে ফুটপাত নেই। এভাবে শহরটাকে বাস অনুপযোগী বানিয়েছে রাজউক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সহ-সভাপতি স্থপতি মো. আলী নকী। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মো. মাহফুজুল হক জগলুল, সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান, সম্পাদক (পেশা) স্থপতি মো. নাজমুল হক বুলবুল, সম্পাদক (সেমিনার ও কনভেনশন) স্থপতি সাবরিনা আফতাব, সম্পাদক (পরিবেশ ও নগরায়ন) স্থপতি সুজাউল ইসলাম খান, সদস্য স্থপতি আমিনুল ইসলাম ইমন উপস্থিত ছিলেন।

এমএমএ/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।