সিআইডির তদন্ত শুরু

৭ ব্যাংক থেকে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পাচার করেছে বেক্সিমকো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বেক্সিমকো গ্রুপ এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

সিআইডি বলছে, গত ১৫ বছরে জনতা, আইএফআইসি, ন্যাশনাল, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে বেক্সিমকো গ্রুপ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, সালমান এফ রহমানের প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু করছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

প্রাথমিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেক্সিমকো গ্রুপ বিগত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করেছে।

যে ব্যাংক থেকে যত টাকা নিয়েছে বেক্সিমকো

বেক্সিমকো গ্রুপ জনতা ব্যাংক থেকে ২১ হাজার ৬৮১ কোটি, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে ৫২১৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ২৯৫ কোটি, সোনালী, অগ্রণী ও রুপালী ব্যাংক থেকে ৫৬৭১ কোটি ও এবি ব্যাংক থেকে ৬০৫ কোটি টাকাসহ মোট ৩৩ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান আরও বলেন, এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপ গত কয়েক বছরে বাজার থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সৌদি আরবে যৌথ বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত বেক্সিমকো র্ফামাসটিক্যিালসের বেশিরভাগ অর্থ বাংলাদেশ থেকে ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং ও হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলেও জানতে পেরেছে সিআইডি।

উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বেক্সিমকো গ্রুপ এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে মানিলন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।