পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আদালত চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার ব্যবস্থা নেবো
পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আইন-আদালত ফেরত আনতে বললে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলে দিতে হবে বলে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফেরত চাইলে দিতে হবে সেটা আমি মিন করিনি। আমি বলেছি যে, যদি লিগ্যাল প্রশ্ন আসে আমরা তো ফেরত চাইতেই পারি। যদি আইন-আদালত আমাদের বলে তাকে ফেরত আনার জন্য, তখন সে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।’
দিতেই হবে এমন কোনো বিষয় আছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভারত ফেরত দেবে কি না সেটা তাদের বিষয়। চুক্তি আছে আমাদের। চাইলে দিতে পারার কথা। এখানে লিগ্যাল পদ্ধতি থাকে। আমি জানি না সেটা কীভাবে হবে। যদি লিগ্যাল সিস্টেম চায় তাকে ফেরত আনতে হবে তাহলে অবশ্যই আমরা চেষ্টা করবো।
ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থানের স্ট্যাটাসটা কী, তিনি কী হিসেবে থাকছেন? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা বরং ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন। লাল পাসপোর্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়েছে। এটা ভারতীয়দের জিজ্ঞেস করুন কি স্ট্যাটাসে তিনি সেখানে আছেন।’
আমাদের এখানে ভারতের যেসব প্রকল্প সেগুলো এখন পড়ে আছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোনো বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের পর কিন্তু একটু ক্যাওয়াজ থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তো আইনশৃঙ্খলা নিয়ে একটু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করে লাভ নেই। সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছি। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু নরমাল হলে তারা নিরাপত্তা বোধ করবে এবং তারাও আসবে। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো তো আমাদের শেষ করতে হবে।
দেশে এক ধরনের ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে। যারা এখানে কাজ করে তারা আতংকের মধ্যে আছে। এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এক ধরনের ভীতির মধ্যে আছে সেটি বলি, আতংক না বলি। সেই ভীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসতে পারবে।
ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ এমওইউ বর্তমান সরকার পুনর্বিবেচনা করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমওইউ চূড়ান্ত চুক্তি নয়। কাজেই এখানে আমাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে কি না সেটি তো আমরা দেখতেই পারি। সে অনুযায়ী স্বার্থ রক্ষা করে যা করা দরকার আমরা করবো।
মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সেটেলমেন্ট হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মিয়ানমারে তো অভ্যন্তরীণ সেটেলমেন্টই হচ্ছে না, সেখানে আমরা এখনই কেন প্রত্যাশা করবো।
আইএইচআর/এমআইএইচএস/জিকেএস