গাজী টায়ার কারখানায় আগুন
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ড্রোন দিয়ে হতাহতের খোঁজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের টায়ার কারখানায় লাগা আগুন নির্বাপণের কাজ চলমান রয়েছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শারীরিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করে হতাহতের খোঁজ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এজন্য ড্রোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে হতাহতের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসীম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে রূপগঞ্জে গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। এরপর দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা পর ২৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ১২ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, এখনো আগুন নির্বাপণের কাজ চলমান। ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শারীরিকভাবে ভেতরে প্রবেশ করে হতাহতের খোঁজ করা যাচ্ছে না। এজন্য ড্রোন ব্যবহার করে বাইরে থেকে হতাহতদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তবে ড্রোন ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত চিহ্নিত করা যায়নি। এ সময়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তালহা বিন জসীম আরও জানান, ফিজিক্যালি সার্চ করার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হবে। ভবনের লোড ক্যাপাসিটির বিষয়ে ওই কমিটি প্রতিবেদন দিলে তার ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা হবে।
এর আগে রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগে গাজী গ্রুপের টায়ার তৈরির কারখানায়। প্রথমে সাত ইউনিট ও পরে আগুন বেড়ে গেলে আরও ৫ ইউনিট যোগ হয়। মোট ১২ ইউনিটের চেষ্টায় ২১ ঘণ্টা পর আনতে সক্ষম হই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট রাতে বিক্ষুদ্ধ জনতা ও ভুক্তভোগীরা রূপসীর গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়। এরপর শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে গাজীর গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে একই কারখানায় দ্বিতীয় দফায় আগুন দেওয়া হয়।
টিটি/এমআইএইচএস/জিকেএস