স্কুলছাত্র রোমান হত্যা মামলায় গ্রেফতার গোলাম দস্তগীর গাজী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৪
সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী/ফাইল ছবি

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে রূপগঞ্জের স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খালিদ হোসেন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রোববার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় গোলাম দস্তগীর গাজীকে। তাকে রূপগঞ্জের স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এদিকে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. ওবায়দুর রহমান ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেলও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন

রূপগঞ্জে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর আনন্দ মিছিল বের হলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র রোমান মিয়া। এ ঘটনায় তার খালা রিনা বাদী হয়ে ২১ আগস্ট সকালে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী, তার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা গাজীকে।

নিহত রোমান রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে চনপাড়া নব কিশালয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মামলার অভিযোগে বাদী রিনা বলেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল চলছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় আসামিরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয় রোমান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

টিটি/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।