বিটিআরসিকে নাহিদ

ফেনীতে মোবাইল টাওয়ার সচলে জেনারেটরে ফ্রি ডিজেল দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৪
ইনসেটে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা ফেনীর। বিদ্যুৎসংযোগ না থাকায় সেখানে প্রায় সব মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। জেনারেটরের মাধ্যমে মোবাইল টাওয়ার সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অপারেটরগুলো। তাতেও হিমশিম অবস্থা।

এ পরিস্থিতিতে ফেনী জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখতে জেনারেটরগুলোকে বিনামূল্যে ডিজেল সরবরাহ করতে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

শনিবার (২৪ আগস্ট) জরুরি এ নির্দেশনা দেন তিনি। দুপুর ২টার দিকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা দিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও ফেনীর ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার এখনো সচল। টাওয়ারগুলো সচল রাখতে প্রচুর ডিজেলের প্রয়োজন হচ্ছে। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারগুলো সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাই বিটিআরসিকে ৭৮টি মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ার সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর পরিচালিত জেনারেটরগুলোতে প্রয়োজনীয় ডিজেল বিনামূল্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া যাচ্ছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি ঘণ্টায় পোর্টেবল জেনারেটরে (পিজি-৭৫ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ২ দশমিক ৩ লিটার এবং জেনারেটরে (ডিজি-৩০ কেভি) ডিজেল ব্যবহৃত হয় ৪ দশমিক ৪ লিটার। সে হিসাবে ৭৮টি জেনারেটরে দিনে ৬ হাজার ৫৫২ লিটার ডিজেল প্রয়োজন। যার মূল্য ৭ লাখ ১৪ হাজার ১৬৮ টাকা।

সাতদিনে প্রয়োজন পড়বে ৪৫ হাজার ৮৬৪ লিটার ডিজেল, খরচ হবে ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৬ টাকা। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার নির্দেশনায় বিটিআরসির ফান্ড থেকে এ টাকা দেওয়া হচ্ছে।

বিটিআরসির তথ্যমতে, আজ শনিবার সকাল ৯টার হিসাব অনুযায়ী- ফেনীর প্রায় ৯২ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল। এতে জেলাটিতে পুরোপুরি টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌবাহিনী, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

এএএইচ/আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।