চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আনসার সদস্যদের বিক্ষোভ
চাকরি জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে চট্টগ্রামে সাধারণ আনসার সদস্যরা কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন ফয়স লেক এলাকার রেঞ্জ অফিস এবং জুমার নামাজের পর নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয় ঘেরাও করে তারা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকালে তারা বাহিনীর পোশাক পরা ছিলেন।
জানা যায়, সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাস্টমস, বিভিন্ন বেসরকারি ডিপো, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসে পদায়িত সাধারণ আনসারা দলে দলে ফয়স লেক রেঞ্জ কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে জড়ো হন। এসময় তারা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জুমার নামাজের পর দুপুর ২টার দিকে কয়েক হাজার আনসার সদস্য বন্দর এলাকা থেকে হেঁটে আসকার দীঘির পারে জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। এসময় সেনাবাহিনীর কয়েকটি টিম সেখানে গিয়ে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আনসার সদস্য মো. ইদ্রিস জাগো নিউজকে বলেন, আমরা অস্ত্রধারী প্রশিক্ষিত আনসার। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও দপ্তরে সশস্ত্র পাহারা দিই। গত ৫ আগস্টের পর সারাদেশে সব স্থাপনা ও থানা পাহারা দিয়েছি আমরা। পুলিশ বা ব্যাটালিয়ান আনসারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করি। অনেকক্ষেত্রে বেশি দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমরা বৈষম্যের শিকার। আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করা হয় না। এখন আমরা জাতীয়করণের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি।
মো. ইমন নামের এক আনসার সদস্য বলেন, সকালে ফয়স লেকে রেঞ্জ কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ে আমাদের একজন আনসার সদস্যকে (সজিব) মারধর করেন জেলা কমান্ড্যান্ট সাইফুল্লাহ হাবিব। এজন্য আমরা জুমার নামাজের পর আসকার দীঘির পাড়ে জেলা কমান্ড্যান্ট কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছি।
জয়নুল নামের এক আনসার সদস্য বলেন, সারাদেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পাহারা দিই আমরা। বৃহস্পতিবার থেকে আমাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
আনসার সদস্য নাছিম মিয়া বলেন, গত ১০ আগস্ট থেকে সারাদেশে সাধারণ আনসাররা এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। আনসারের মহাপরিচালক জাতিকে নানা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে আমাদের অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার রয়েছেন ৬০ হাজারেরও কম। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো সরকারের উচ্চদপ্তরে তোলা হয় না।
এমডিআইএইচ/এমকেআর/এএসএম