নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন নয়: পরিবেশ উপদেষ্টা
নতুন করে কোনো ইটভাটার অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তরকে কিছু কিছু প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হলো। আমরা যতো তাড়াতাড়ি তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবো, ততো তাড়াতাড়ি এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এ প্রকল্পগুলোতে বাজেট সহায়তা দিতে পারবে তারা। আমি বলেছি, বাংলাদেশে আইন-কানুন, নীতি ভালো আছে। এগুলোকে আরও ভালো করা যায় কিন্তু সক্ষমতা না বাড়ালে এগুলোর বাস্তবায়নে দূরত্ব বেড়ে যাবে। মানুষের প্রত্যাশার জায়গাটা পূরণ হবে না। আইন-কানুন, নীতি আরও সময়োপযোগী করব, আরও শক্ত করব। কিন্তু একইসঙ্গে কাজে নেমে যেতে হবে। যেমন মানুষকে দেখাতে হবে দূষণকারী কয়জন শাস্তি পাচ্ছে, ময়লা-আবর্জনা নদীর পাড় থেকে সরছে, কিছু কিছু নদী পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক কী ধরনের সহায়তা দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে দূষিত নদী ও দূষণকারীদের তালিকা করতে। সেগুলো যখন আমরা পাবো তখন একটি মনিটরিং প্ল্যান করে ফেলতে পারব। বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি হয়নি। তবে একটি রূপরেখা তো আছেই, সেখানে নতুন নতুন কম্পোনেন্ট যদি যুক্ত করতে পারি সেটি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে সর্বাত্মক সহায়তা করার চেষ্টা করবেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণ একদিনে সমাধান হবে না, কিন্তু এই শীতের আগে যেন বায়ুদূষণের কয়েকটি উৎসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি সেজন্য কর্মপরিকল্পনা করছি।
তিনি বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর ক্ষেত্রে ইটভাটার মৌসুম আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। তার আগেই এগুলো বন্ধ করতে পারি কি না সেই চেষ্টা করছি।
অবৈধ ইটভাটা বন্ধের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাদের লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই সেগুলো বন্ধ করে দেবো। তারা বায়ুদূষণ করুক বা উন্নয়নের প্রয়োজন হোক বা না হোক তাদের তো বন্ধ করতে হবে, তাদের তো কোন অনুমোদন নেই। আশপাশের দেশেও মাটি দিয়ে পোড়ানো ইট নেই। ব্লক ইট প্রস্তুতের যে উপাদানগুলো লাগে সেগুলো আমদানির বিষয় আছে। অবৈধ ইটভাটার ক্ষেত্রে কোন সহানুভূতি দেখাবো না। সেগুলো বন্ধ হলে উন্নয়নে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। নীতিগত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে আমরা আর কোনো নতুন ইটভাটার লাইসেন্স দেবো না।
আইএইচআর/জেএইচ/এএসএম