মে দিবসে নার্সদের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৭:০৪ এএম, ০১ মে ২০১৬

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে (মে দিবস) হাজার হাজার বেকার নার্সের মুখে হাসি ফোটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মমতাময়ী মায়ের মতো এগিয়ে এসে আন্দোলনকারী বেকার সন্তানদের (নার্স) পাশে দাঁড়ালেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে নির্দেশ দিলেন ওদের (নার্স) দাবি মেনে নাও। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী নার্স নেতাদের ডেকে দাবি মেনে নেয়া হলো বলে শুধু ঘোষণাটি দিলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেবা পরিদফতর ও একাধিক চিকিৎসক নেতা জাগো নিউজকে এভাবেই জানালেন নার্স আন্দোলন সমাপ্তির নেপথ্যের কারণ।

গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ও গ্র্যাজুয়েট বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) এর পরীক্ষার মাধ্যমে সাড়ে তিন সহস্রাধিক নার্স নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। সাংবাদিক সম্মেলন, রাজপথে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান, বিক্ষোভ সমাবেশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সেবা পরিদফতরে স্মারকলিপি পেশ, মশাল মিছিল, কফিন মিছিল এমনকি আমরণ অনশন করলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন।

আন্দোলনকালে শাহবাগে পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকারও হয় নার্সরা। তাদের পক্ষে মাঠে নামার অপরাধে নার্স নেত্রী ইসমত আরাকে ঢাকার বাইরে বদলির ঘটনাও ঘটে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় বেকার নার্সরা রোদ-বৃষ্টিতে অবস্থান করলেও মনে মনে তারা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন।

narse

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বেকার, গ্র্যাজুয়েট ও তাদের সঙ্গে একাত্মতাকারী একাধিক সরকারি নার্স গতকাল (শনিবার) পর্যন্তও চরম হতাশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, এতদিন যাবত রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, পুলিশের নির্যাতনের শিকার হলেও আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে নিচ্ছে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা এও জানিয়েছিলেন, নার্সদের আন্দোলন যেন কোনোভাবেই সফল না হয় সে জন্য বদলির হুমকিও আসছিল।

আজ (রোববার) হঠাৎ করে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। আর এ সমস্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপেই সমাধান হয়েছে বলে জানান সেবা পরিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নিলুফার ফারহাদ।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।