শাজাহান খানসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
শাজাহান খান ছাড়া অন্য নেতারা হলেন- আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, তার সহধর্মিণী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল, সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় হেনরীর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র আড়াই লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে । শুধু ২০২০-২১ অর্থবছরেই এই তিনি কালো টাকা সাদা করেছেন প্রায় ৩২ কোটি। শুধু নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ নয়, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, পটুয়াখালী ও রাজধানী ঢাকায় তার অঢেল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সিরাজগঞ্জে গড়ে তুলেছেন ‘হেনরী ভুবন’।
প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে ২০১৪ সালে তলব করে দুদক। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও তাকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতি, সাধারণ ব্যবসা ও অন্যান্য উল্লেখ করেন। হলফনামা অনুসারে তার সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজের দুটি গাড়ি, স্ত্রীর নামে ৯৬ ভরি সোনা, দুটি বাস, একটি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস। এছাড়াও স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পদ।
অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী অপু উকিলের বিরুদ্ধেও রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। অভিযোগ আছে, অবৈধ সম্পদের অর্থে ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়িতে ১৪টি ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন তারা। ধানমন্ডির ১১ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে ৩টি ফ্ল্যাট, নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত সাউদপাড়ায় রাজকীয় ব্যয়বহুল বাড়ি করেছেন। এছাড়া নেত্রকোনা সদর পৌরসভাধীন কাটলী মৌজায় মূল্যবান জায়গা, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত বাড়ি রয়েছে। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় এই দম্পত্তির দুই ছেলে সায়ক ও শুদ্ধের বাড়ি রয়েছে।
এছাড়া সাবেক গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এসএম/ইএ/জিকেএস