তাকসিমের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দুদকের চিঠি
ঢাকা ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ওয়াসায় নিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার সচিবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া তথ্য ও নথি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ওয়াসায়।
দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে তাকসিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে দুদক। গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষারিত এই চিঠি পাঠানো হয়।
ইমিগ্রেশন পুলিশকে দেওয়া সেই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাসকিম এ খান বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি সপরিবারে দেশত্যাগ করে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিম্নবর্ণিত ব্যক্তির বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
এদিকে ওয়াসায় তাকসিম এ খানের নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ওয়াসার সাবেক এমডি তাসকিম এ খান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
চিঠিতে তাসকিম এ খানের সবগুলো নিয়োগপত্র, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, চাকরির সময়কাল, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির কাগজ, মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতিমালা ও রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, তার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে কোন তদন্ত হয়ে থাকলে তদন্ত প্রতিবেদন এবং তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না সে সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র, তার সময়ে ডিএমডি পদে নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এবং পদোন্নতি সংক্রান্ত সব রেকর্ডপত্রের ফটোকপি আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে দুদকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত বছর তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করে কমিশন।
সে সময় তাকসিম এ খান গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা ওয়াসায় এক টাকাও দুর্নীতি হয়নি, জীবনে এক টাকাও হারাম খাইনি। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য।
এসএম/এমএইচআর/জেআইএম