রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের তথ্য প্রত্যাখ্যান রোসাটমের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৮ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সদ্যসাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতে সহায়তাকারী হিসেবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের নাম উঠে এসেছে। তবে অর্থ আত্মসাতের এ তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে রুশ প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে রোসাটম৷। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও স্বার্থ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন হতেও তারা প্রস্তুত।

আরও পড়ুন

বার্তায় রোসাটম জানায়, গণমাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে অনৈতিক আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত/প্রচারিত উসকানিমূলক সংবাদ প্রত্যাখ্যান করছে রোসাটম। রোসাটম তার সব প্রকল্পে উন্মুক্ত কর্মপন্থা, দুর্নীতি প্রতিরোধ নীতি এবং ক্রয়পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘ব্যবসা প্রক্রিয়ায় উন্মুক্ততা বাহ্যিক নিরীক্ষার মাধ্যমে নিয়মিতভাবে নিশ্চিত করা হয়। রোসাটম তার নিজস্ব সুনাম ও স্বার্থ রক্ষায় আদালতের শরণাপন্ন হতেও প্রস্তুত।’

বার্তায় আরও বলা হয়, আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত অসত্য তথ্যগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করার একটি প্রয়াস হিসেবে বিবেচনা করছি। এ প্রকল্পটি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি সমস্যার সমাধান এবং জনগণের কল্যাণের স্বার্থে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার (৫৯ হাজার কোটি টাকা) আত্মসাৎ করেছেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামের একটি ওয়েবসাইট। সেখানে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই অর্থ আত্মসাতে তাকে সহায়তা করেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে পোর্টালটি ২০১৮ সালে চালু হয়। এটি মূলত বিভিন্ন দেশের সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির অনুসন্ধান করে।

এনএস/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।