জাহিদ হোসেন

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ আইন বাতিল করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪
অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন

‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি’ বিশেষ আইন ও সংশ্লিষ্ট দায়মুক্তির আইন বাতিল করে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিযোগিতা ও জবাবদিহির দুয়ার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ড. জাহিদ বলেন, বিগত সরকার ২০০৯ এ যখন দেশের হাল ধরেন তখন বিদ্যুৎ খাতের অবস্থা ছিল বেহাল। যদিও তার আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার সরবরাহ স্থিতিশীল রাখা ও বাড়ানোর কাজ শুরু করেন।

হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দ্রুত কাজ শুরু করেন। ফলে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়ানোর জন্য সাবেক সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন প্রণয়ণ করেন। এর ফলে দ্রুত উৎপাদন সক্ষমতা বাড়লো ঠিকই, সেই সঙ্গে খুলে গেলো দুর্নীতির দুয়ার।

তিনি বলেন, 'আইনটির সীমিত সময়ের কারণে বার বার নবায়িত হলো। বিদ্যুৎ খাত হয়ে গেলো দুর্নীতির স্বর্গ। কোন রকম দরপত্র ছাড়াই বেসরকারি খাতে নির্মিত হলো শতাধিক বিদ্যুত কেন্দ্র। বিএনপি সরকারের খাম্বার দুর্নীতি পরিণত হলো লক্ষ কোটি টাকার ক্যাপাসিটি চার্জের দুর্নীতিতে। একই কেন্দ্র সরকারের কাছে কয়েকবার বিক্রির অভিযোগও শোনা গেছে।

ড. জাহিদ হোসেন বলেন, 'সঞ্চালন এবং বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন অবহেলিত হওয়ার কারণে পল্লী বিদ্যুতে লোডশেডিং চলতে থাকলো। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ খরচ উঠে যাওয়া এবং স্বল্প মেয়াদী কেন্দ্রের প্রয়োজন ফুরানোর পরেও সেগুলোর মেয়াদ বার বার বাড়ানো হলো ওই আইনের বলে।

জানা গেছে, 'বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন যেটা ২০১০ সালের ৫৪ নং আইন হিসেবে চিহ্নিত। এই আইনের মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়ানো হয়েছে।

আরএএস/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।