এমপক্স রোধে শাহ আমানত বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:২২ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৪

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এমপক্স ভাইরাসের বিস্তার রোধে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) রাত থেকে এই নির্দেশনা জারি হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তসলিম আহমেদ জানান, বিমানবন্দরে প্রতিটি শিফটে তিনজন করে চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রতিটি যাত্রীকে পরীক্ষা করছেন কর্মকর্তারা।

তিনি বলেন, আমরা সংক্রমিত যাত্রীদের পরীক্ষা করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং এমপক্স ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত যাত্রীকে পৃথক করার জন্য সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংক্রমিতদের যত্ন নেওয়ার জন্য আমাদের প্রতিটি শিফটের জন্য তিনজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (চিকিৎসক) রয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সমস্ত যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করেছি এবং এখনও কোনো সংক্রমিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাইনি।

মাংকিপক্স ভাইরাসবাহিত রোগ এমপক্স। এখন পর্যন্ত প্রায় ১১৬টি দেশে মাংকি পক্সের (এম-পক্স) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর হতে পারে (৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা ১০০ ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রা), প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ব্যথা (লিম্ফ্যাডিনোপ্যাথি), মাংসপেশিতে ব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা, সাধারণত জ্বরের ৩ দিনের মধ্যে ফুসকুড়ি হওয়া, যা মুখ থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে হাতের তালু, পায়ের তালুসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। উপসর্গগুলো সাধারণত ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি, আক্রান্ত বস্তু বা প্রাণীর সংস্পর্শে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে।

এএজেড/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।