তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের কথা ভেবেছি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৯ এএম, ১৮ আগস্ট ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

প্রাথমিকভাবে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন করার কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর রোববার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে প্রথম অফিসে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশনের কথা প্রাথমিকভাবে ভেবেছি। এর রূপরেখা কি হবে সেটা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবো। সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই উদ্যোগগুলো নিতে চাচ্ছি।'

উপদেষ্টা বলেন, সেন্সর বোর্ডের কারণে যে ছবিগুলো আসেনি সেগুলো নিয়ে দ্রুতই বসবো। সেন্সর বোর্ডকে দ্রুততার সঙ্গে পুনর্গঠন করবো। সেন্সর বোর্ড না থাকার যে দাবি, সেটিও আলোচনা করে যৌক্তিকতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।

'আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমার ছবি যত কম প্রচার করা যায়। আমি তো পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি কদিন ধরে।'

অনেকে এখন ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এ বিষয়ে আপনারা কি ভাবছেন- জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, 'যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তাদের যেন কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া না হয়, সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। মামলাগুলো হলেও সেগুলো সুস্পষ্ট তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে।'

আরও পড়ুন

গণমাধ্যম কর্মী আইনটি দীর্ঘদিন ঝুলে আছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটি আমি দেখবো।

সাগর-রুনি হত্যার বিচার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে চাইছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা নিয়ে কোন ধরনের প্রহসন, টালবাহানা চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের একটা কাঠামোগত সংস্কারের কথা ভাবছি। যাতে দীর্ঘমেয়াদী এটার সুফলটা আসে। বিভিন্ন আইনের পরিবর্তন, সাংবাদিকদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো আধুনিকায়ন করা হবে।

ডিএফপি এবং পিআইবিতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা তো বলেছি যে, দুর্নীতি, কোনো স্বজনপ্রীতির কোনো স্থান এখানে দেখতে চাই না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দাঁড় করাতে হবে।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গাটা হচ্ছে নিরপেক্ষতা। কিন্তু আমাদের দেশে গণমাধ্যমের ক্ষেত্রে দেখি, আওয়ামী লীগ-বিএনপির মতো গণমাধ্যমেও দুইটা ভাগ থাকে। এই বিষয়গুলো সাংবাদিকরা বিবেচনা করবেন, যাতে এ ধরনের দলীয় কোনো ভাগ সাংবাদিকদের মধ্যে না দেখি। যাতে তারা একটি নিরপেক্ষ জায়গা থেকে জনগণের জন্য কথা বলতে পারেন।

আরএমএম/এসআইটি/এমএমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।