মোবাইলে আড়িপাতার অভিযোগ ওঠা এনটিএমসি বিলুপ্তির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৪

দেশের সাধারণ নাগরিকদের মোবাইলে ফোন ও ই-মেইলে আড়িপাতা, ব্যবহৃত ডিভাইস নজরদারিতে রাখা, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্লক করার অভিযোগ ওঠা বিতর্কিত ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির দাবি তুলেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, এনটিএমসির কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থি। সংবিধানের ৪৩(খ) অনুচ্ছেদে চিঠিপত্র ও যোগাযোগের সব মাধ্যমের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। অথচ ২০১৩ সালে এ সংস্থাটি গঠন করা হয় মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের পরামর্শে। মূলত দেশের সাধারণ নাগরিকের যোগাযোগে নজরদারি এবং ফোনালাপ রেকর্ড, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন অ্যাপে আড়িপাতা ছাড়া অন্য কোনো কাজই করেনি এ সংস্থাটি। শুধু ফোনালাপ নয়, ভিডিও কলিং রেকর্ড করেও অনেক সম্ভ্রান্ত নাগরিককে হেনস্তা করেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

আরও পড়ুন:

এতে আরও বলা হয়, সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে, মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের মেসেজ দিতে সংস্থাটি বাধ্য করতো। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকা ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কাছ থেকে এনটিএমসি প্যাগাসাস স্পাইওয়্যার কিনেছিল বলেও দেশ এবং বিদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যদিও তৎকালীন সরকার তা অস্বীকার করেছিল।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ আরও উল্লেখ করেন, সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং সংবিধান পরিপন্থি। সেই সঙ্গে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাই দেশ জাতি এবং সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এ ধরনের সংস্থা বিলুপ্তি সময়ের দাবি। তাছাড়া এ সংস্থার অবৈধ যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তারা নাগরিকদের পক্ষ থেকে এবং গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ও সুরক্ষার স্বার্থে এ সংস্থার বিলুপ্তি অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি করেন। শিগগির এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

এএএইচ/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।