আইসিসিতে হাসিনার বিচারের উদ্যোগ নিতে ব্রিটিশ মন্ত্রীর কাছে চিঠি

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ব্যারিস্টার মাইকেল পোলাক/ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী আন্দোলনে হত্যা ও সহিংসতার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বিচারের মুখোমুখি করতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমিকে চিঠি দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস ফর বাংলাদেশ’।

বুধবার ডেডিভ লেমিকে পাঠানো ওই চিঠিতে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে চলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তুলতে তার প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠনটি।

চিঠিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে দেখতে চায়। দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ বহন করে। বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানান সংগঠনটির তিন সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক আইনজীবী ব্যারিস্টার মাইকেল পোলাক, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক প্রধান আব্বাস ফয়েজ এবং ব্রডকাস্টার এবং বাংলাদেশ বিষয়ক রাজনীতি ও গণতন্ত্র বিশ্লেষক আতাউল্যাহ ফারুক।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গণহত্যা হয়েছে এবং তা তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে। বর্তমান ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি শাসকের আদেশের বাইরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই।

আরও পড়ুন

এছাড়া ১২ আগস্ট প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একজন বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়, সেখানে তিনি বলছেন, ‘আমরা যখন গুলি করি, তখন একজন মারা যায় এবং অন্য একজন আহত হন। শুধু একজন পড়লেও, বাকিরা যায় না স্যার। এটা, স্যার, সবচেয়ে বড় আতঙ্কের।

এছাড়াও, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীকে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন এমন প্রমাণ রয়েছে। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী হতে পারেন। এছাড়াও, হাসিনা শাসনামলে, ৬০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি গুমের শিকার হন। তাদের পরিবার থেকে তুলে নিয়ে গোপনে আটকে রাখা হয়।

বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার গোপন আটক ও নির্যাতনের অস্তিত্ব নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা বলেছে। যদিও এ ধরনের আয়নাঘর নামে পরিচিতি পাওয়া গোপন টর্চার সেলের অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া গেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, ৬ আগস্ট এসব গোপন টর্চার সেল থেকে ফিরে এসেছেন অনেকে। দিয়েছেন তাদের ওপর নির্যাতনের লোমহর্ষক বর্ণনা। তারা এখন অপহরণ, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কে প্রমাণ সরবরাহ করতে পারেন।

সংগঠনটি জানায়, আন্তর্জাতিক তদন্ত এবং বিচারের জন্য সবচেয়ে কার্যকর সংস্থা হলো, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ দুই দেশই আইসিসির সদস্য হওয়ায় সংস্থাটির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী কর্তাব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও আশা ব্যক্ত করে ‘জাস্টিস ফর বাংলাদেশ’।

এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।