চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৪

ছাত্র-জনতার ওপর পরিচালিত গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের দাবিসহ চার দফা দাবিতে চট্টগ্রামে ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ছাড়াও জড়ো হয়েছেন নানা পেশার মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই নিউমার্কেট এলাকায় আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা। বর্তমানে হাজার খানেক ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়ে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

স্লোগানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, গণহত্যার বিচার চাই’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘শেখ হাসিনার দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’।

গত ১৩ আগস্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চার দফা দাবিতে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারই অংশ হিসেবে পরপর দুদিন নগরের ষোলশহর স্টেশন এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেন তারা। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে; সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছে; তাদের দ্রুত অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুত সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

এএজেড/এমআরএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।