চট্টগ্রামে হাজারো কণ্ঠে ‘ফ্যাসিবাদ’ রুখে দেওয়ার ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪

মিছিল-স্লোগানে গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিবাদ রুখে দেওয়ার ডাক দিয়েছে চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ এর প্রথম দিন মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে শিক্ষার্থীদের মিছিল-স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে নগরীর ষোলশহর থেকে বহদ্দারহাট এলাকা। অংশ নেন কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা।

বিজ্ঞাপন

এ সময় যেসব ছাত্র-জনতা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেটির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় হাজারো শিক্ষার্থী ষোলশহর স্টেশনে জড়ো হন। সেখানে প্রায় ৪০মিনিট ধরে তারা সমাবেশ করেন। এরপর মিছিল নিয়ে মুরাদপুর মোড়ে যান শিক্ষার্থীরা। সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান শেষে একটি অংশ মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাট মোড়ে যান। আরেকটি অংশ শুলকবহর এলাকায় অবস্থান নেন।

এর আগে ষোলশহর মোড়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বীর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়ে তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদকে কেউ প্রশ্রয় দেবেন না। যদি কেউ প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করবেন। যেকোনো মূল্যে আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।’

চট্টগ্রামে হাজারো কণ্ঠে ‘ফ্যাসিবাদ’ রুখে দেওয়ার ডাক

শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না আমরা সবাই সোচ্চার থাকবো। যদি কোনোভাবে কোনো সমস্যা তৈরি হয়, তাহলে আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের জবাব দিতে পারবো না। যারা রক্ত দিয়ে গেছেন তাদের জবাব দিতে পারবো না। সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে, সবাইকে সোচ্চার রাখতে হবে। যদি আবার ডাক আসে রাজপথে নামবো।’- যোগ করেন রাফি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাংলাদেশ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের। আমরা বাংলাদেশি। আমাদের আন্দোলনে হিন্দু বন্ধুরা এসেছে, মুসলিম বন্ধুরা এসেছে, খ্রিষ্টান বন্ধুরা এসেছে। জাতি-ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এসেছে। যারা মন্দিরে হামলার চেষ্টা করেছে তাদের আমরা প্রতিরোধ করবো। আমরা ঢাল হয়ে দাঁড়াবো। আমাদের পরিচয় একটা, এখানে কোনো সংখ্যালঘু থাকবে না, এখানে সবার পরিচয় মানুষ।’

কেউ চাঁদাবাজি করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে জানিয়ে রাফি বলেন, ‘এটা সাধারণ শিক্ষার্থী আর সাধারণ মানুষের আন্দোলন, বিজয়ও তাদের। আমি যেমন, আপনিও তেমন। এখানে আলাদা কিছু নেই, আলাদা কোনো পদ নেই। যখন আমরা মাঠে নামবো, সবাই এক। কাউকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেবেন না। কোনো বৈষম্যের জায়গা বাংলাদেশে হবে না। কোনো অন্যায়ের জায়গা বাংলাদেশে হবে না।’

কর্মসূচি চলার সময় শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রামের মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে নিরবতা পালন করেন এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করেন।

বিজ্ঞাপন

এএজেড/এমএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।