রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার বন্ধসহ ইমাম-খতিবদের ১১ দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৮ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৪
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ইমাম খতিবদের সংবাদ সম্মেলন

রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার বন্ধ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করায় চাকরিচ্যুত খতিবদের পুনর্বহালসহ ১১টি দাবি জানিয়েছেন ইমাম, খতিব ও মুয়াজ্জিনরা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার বলেন, এখন সব থেকে বেশি বৈষ্যমের শিকার ইমাম, খতিবরা। মসজিদে হক কথা বললে খতিবদের চাকরি চলে যায়। সারা দেশে ৫ হাজার ইমাম খতিব নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

আর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দালাল মৌলবাদীদের অভাব নেই। কারও চাকরি গেলে তার জায়গায় এই দালালদের চাকরি দেওয়া হয়। মসজিদে হক কথা বলতে হলে আগে দুর্নীতিবাজ মসজিদ কমিটি ভেঙে দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

>> দেশব্যাপী মসজিদে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের ওপর কতিপয় মসজিদ কমিটির স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ করতে হবে।

>> তাদের ন্যায্য বেতন প্রদান করতে হবে। যাতে একটা পরিবার বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে খরচের সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে পারে। সব মসজিদে দুই ঈদে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের জন্য বোনাস পদ্ধতি চালু করতে হবে।
>> ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিনদেরকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।

>> ইমাম নিয়োগ, বিয়োগে সমাজের প্রভাবশালী মহলের একক আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আলেমদের পরামর্শ ও মুসল্লিদের সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।

>> ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্রকরে আকস্মিকভাবে অব্যাহতি কিংবা চাকরিচ্যুতি বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের কমপক্ষে চার মাসের আগাম নোটিশ প্রদান করতে হবে।

>> মসজিদে, মিম্বারে ইমাম, খতিবকে স্বাধীনভাবে কুরআন সুন্নাহভিত্তিক খুতবা প্রদান ও হক কথা বলতে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিটির বলপ্রয়োগ, ওজর ও আপত্তি করা বন্ধ করতে হবে।

>> ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের সাপ্তাহিক ও মাসিক ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। সামর্থ্যবান মসজিদে ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিনদের জন্য পরিবারিক আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

>> চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, খুনি, ফৌজদারী মামলার আসামি, সুদখোর, ঘুষখোরসহ বেনামাজি ব্যক্তিকে মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল হিসেবে অযোগ্য ও নিষিদ্ধ করতে হবে।

>> দেশের সব মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও জবাবদিহি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চিত করতে হবে। যেসব মসজিদে কমিটি কর্তৃক অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে, সে অর্থ উদ্ধার করে মসজিদের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।

>> সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশের সুনাম ও সুখ্যাতি রক্ষায় জাতীয় ও সামাজিক পর্যায়ে বার্ষিক ধর্মীয় সম্প্রীতি সভার আয়োজনে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

>> বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে খুতবা প্রদান ও শহীদদের জন্য দোয়া করায় যেসব ইমাম, খতিব চাকরি হারিয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বহাল করতে হবে।

এমএএস/এসআইটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।