পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক নষ্ট হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দীর্ঘদিন অবস্থান করলেও দিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক নষ্ট হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন হবে কি না এমন প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা খুব হাইপোথেটিক্যাল (অনুমানমূলক) প্রশ্ন। একজন যদি কোনো এক দেশে গিয়ে থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে কেন? তার তো কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বিষয় কিন্তু অনেক বড় বিষয়। এটা স্বার্থের সম্পর্ক। দু’পক্ষের স্বার্থ আছে। ভারতের যেমন স্বার্থ আছে, তেমনি আমাদেরও স্বার্থ আছে। কাজেই আমরা সেই স্বার্থকে অনুসরণ করবো। আমাদের সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা থাকতে হবে।

কূটনীতিকদের ব্রিফের কারণ উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, রাষ্ট্রদূতদের ডাকা হয়েছে। সরকার কোন প্রেক্ষাপটে এসেছে এসব বিষয়ে বলা হয়েছে। আমরা আমাদের উদ্দেশ্য বলেছি। একটা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেটা যারা এনেছে তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। তাদের চাওয়া কোনো বৈষম্য থাকবে না। এ সরকার সেই উদ্দেশে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছি। এগিয়ে এসেছে তারা। আমরা বলেছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক যুক্ত হতে চাই। সবক্ষেত্রে জাতিসংঘসহ সবার সঙ্গে। রোহিঙ্গা ইস্যু, বিনিয়োগের ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন এসেছে। আমরা বলেছি, তারা যেন হতাশ না হয়। এত বড় একটা পরিবর্তন হয়েছে, কিছু তো সময় লাগতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, একজন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, যুবকরা এত বড় একটা কাজ করলো। আগামী যেন যুবকদের মধ্যে যেন একটা নেতৃত্ব আসে। আমি বলেছি, দুজন ছাত্র কাউন্সিলে আছে। তাদের অনেকের মানবাধিকার নিয়ে…। আমরা বলেছি, মানবাধিকার নিয়ে সিরিয়াস।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরেয়ে আনার পাশাপাশি এ সরকারের মেয়াদ নিয়ে কূটনীতিকরা কোনো প্রশ্ন করেছেন কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন আসেনি। কাজেই এটা এখন আমরা বাদ দিই। নির্বাচনের বিষয়ে একটি শব্দও হয়নি। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি বিষয়টা। এ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

আমরা সময়ের ব্যাপারে বলছি না। ছাত্ররা কী আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্য জীবন দিয়েছে? তাদের কিছু চাওয়া আছে। কিছু রিফর্মের প্রয়োজন পড়বে। আমরা যেটুকু সময়ের প্রয়োজন পড়বে ঠিক সেই সময়টুকু নেবো, বেশি থাকবো না, কমও থাকবো না। রিফর্মগুলো অন্তত পথে এনে দিয়ে যেতে হবে। সবকিছু কেউ করে দিয়ে যেতে পারবে না, ছাত্রদের যে চাওয়া সেটা যেন পথে এনে দিয়ে যাওয়া যায়।

বিদায়ী সরকারের পরিকল্পনায় থাকা বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন এনগেজমেন্ট আটকে যাওয়ার প্রশ্নে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ঠিক এ মুহূর্তে আমরা…। আমরা কিন্তু কোনো কিছু থেকে সরে যাবো এমন না। যারা সঙ্গে যে চুক্তি আছে বা কমিটমেন্ট আছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বা দ্বিপক্ষীয় ব্যাপারে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। যেখানে আমাদের মনে হয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে সেখানে আমাদের স্বার্থ দেখা হবে।

আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।