সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন এমন শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ
সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নন এমন শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেফতার যাদের করা হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা ছাত্র, পরীক্ষার্থী তাদের সবাইকে জামিন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি এটাও নির্দেশ দিয়েছি যার মধ্যে নিরীহ আছে এবং ছাত্র যারা... একেবারেই খুনের সঙ্গে জড়িত না, ধ্বংসাত্মক কাজের সঙ্গে জড়িত না তাদের মুক্তি দেওয়া শুরু করবে। সেটা শুরু হয়ে যাচ্ছে। যারা যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে তারা থাকবে, বাকিরা যাতে মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
শনিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন
- গণভবনে জরুরি বৈঠক: আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ
- ‘ইন্টারনেট বন্ধ করা ঠিক হয়নি, নেতিবাচক তথ্য বিদেশে গেছে’
- সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষকরা, গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন বলে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, তারা যদি এখনো আসতে চায়, কথা বলতে চায়। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। তাদের দাবি কী কী বাকি আছে সেটা শুনতে চাই। যেটা আমাদের সাধ্যমতো সেটা পূরণ করতে করতে চাই। আমি এ সংঘাত চাই না। আমি কোটা আন্দোলনকারীদের কথা শুনব, তাদের সঙ্গে বসবো। তাদের দাবি-দাওয়া এ পর্যন্ত মেনে নিয়েছি, আর আছে কি না তা শুনবো।
সহিংসতা নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমি চাই যারা, এর সঙ্গে জড়িত, সেই যেই হোক, সে পুলিশই হোক বা অন্য যে কেউ হোক, যারা অস্ত্রধারী, যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটায় সবারই তদন্ত হোক, বিচার হোক। শুধু ঢাকা নয়, যে সমস্ত জায়গায় জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে তার বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ বিচার হবে।
আরও পড়ুন
- গণভবনের দরজা খোলা, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চাই: প্রধানমন্ত্রী
- রামপুরায় সড়কে শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ
- ‘জয় বাংলা’ কনসার্ট বর্জন করল যেসব ব্যান্ড
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই বিচার হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। যারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে। রংপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে পুলিশ দায়ী তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, বিচার হবে।
বহু চিন্তাভাবনা করে সরকার সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ সুবিধা আমরা দিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রজাতন্ত্রের সব বেতনভোগ কর্মচারীদের ক্ষেত্রে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বাধ্যবাধকতা বাতিল করে দিয়েছি।
এসইউজে/এমএইচআর/জেএইচ/এমএস/এএসএম