সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিককে হত্যা, সাগর-রুনির হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাংবাদিকদের একটি অংশ।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাংবাদিকরা। কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও নজরুল গবেষক আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক আবদুল হক সবুজ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এতে অংশ নেন।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ইলিয়াস খান বলেন, আমার ভাইকে গুলি করা হচ্ছে। আমাদের সবাইকে আহত করা হয়েছে। মেট্রোরেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মেট্রোরেল ধ্বংস করে পরিবহন ব্যবসা রমরমা করার জন্যই এটা করা হয়েছে। অথচ এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো আমাদের সাংবাদিক সাইদ খানকে। সাইদ খান মগবাজারে বসবাস করেন অথচ মিরপুরে-১০ নম্বরের ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হলো। সরকার ইট বালির জন্য শোক করছে কিন্তু মানুষ হত্যার জন্য কোন মায়া-মমতা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা খবর পাচ্ছি অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আপনারা সতর্ক থাকবেন কেউ যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। দরকার হলে আপনারা বিমানবন্দর পাহারা দেবেন। এই সরকারকে বিদায় না দিলে কেউ সঠিক বিচার পাবো না।
- আরও পড়ুন:
- ‘ইন্টারনেট বন্ধ করা ঠিক হয়নি, নেতিবাচক তথ্য বিদেশে গেছে’
গণভবনে জরুরি বৈঠক: আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ - ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা
রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, পাঁচজন সাংবাদিক হত্যা করা হলো। অথচ এটা নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেখছি না। সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি, আমরা আশাও করি না। এই সরকারের আমলে ৭০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। ঘরে থাকার সময় নাই। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। সবাইকে ঘর থেকে বের হতে হবে, বসে থাকার সময় নেই। আমাদের বাচ্চাদের সঙ্গে সবাইকে এক হয়ে মাঠে নামতে হবে।
মহিউদ্দিন বলেন, সবাই পুলিশ হত্যার কথা বলে কিন্তু আমাদের কথা কেউ বলে না। আমাদের গণমাধ্যম কারা চালায় দেখতে হবে। আমরা মাঠ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করলেও অনেক সময় যায় না। অথচ আমাদের একটি পক্ষের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যারা সংবাদ ছাপতে দেয় না তাদের মুখোশ উন্মোচন করা দরকার। পাশাপাশি আমাদের সাংবাদিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ হওয়া দরকার।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম