বিকেলে খুলছে ফেসবুক-টিকটকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়া
বাংলাদেশের সংবিধান ও নিজেদের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বন্ধ থাকা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মেটার চারটি প্ল্যাটফর্মের (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জার) এবং টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে শেষে ব্রিফিংয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজকে আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে বিটিআরসিতে ডেকেছিলাম। সশরীরে আসতে না পারায় মেটার চারটি প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জারের পক্ষ থেকে মেটার প্রতিনিধি রেজান সারোযার ভার্চুয়ালি অংশ নেন। আর টিকটকের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান সশরীরে অংশ নেন। তবে ইউটিউবের পক্ষ থেকে বুধবার রাতে ই-মেইল করে সময় চাওয়া হয়েছে।
- আরও পড়ুন
- ফেসবুকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে জুনাইদ আহমেদ পলক
- ১০ দিনে সরকারি ওয়েবসাইটে ৫০ হাজার বার সাইবার হামলা: পলক
- ব্যাংকসহ বড় ৪ খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি: পলক
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের দেখিয়েছি কীভাবে তারা নিজরাই নিজেদের গাইডলাইন মানছেন না। সেগুলো দেখে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, ভবিষ্যতে তারা এগুলো মেনে চলবে। বাংলাদেশের সংবিধান এবং তাদের যে কমিউনিটি গাইডলাইন রয়েছে, তা অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বৈঠকের পরই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারসহ সব মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এএএইচ/এসএনআর/জিকেএস