বিক্ষোভকারীদের জড়ো হওয়ার চেষ্টা, আটক ২০
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক রোববার সব আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে রোববারই নতুন করে আন্দোলনের ডাক দেন বাইরে থাকা কয়েকজন সমন্বয়ক। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার সারাদেশে ‘ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ’ কর্মসূচি এবং ‘প্রতিবাদ সমাবেশ’ করার কথা তাদের।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরের দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বরে জড়ো হওয়া একদল বিক্ষোভকারীকে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। কয়েকজন বিক্ষোভকারী গলি থেকে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয় এবং কয়েকজনকে আটক করে।
এদিকে, রাজধানী মিরপুর-১০ ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর-১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির।
ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।
আরও পড়ুন:
- ঢাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ, সারাদেশে বিজিবির টহল
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের হয়রানি করলে প্রক্টর অফিসে জানানোর আহ্বান
- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক রোববার এক ভিডিও বার্তায় শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এরপরই অন্য সমন্বয়কদের মধ্যে কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হচ্ছে- সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেস ক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর-১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী।
সকাল থেকেই এসব এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টারের টহলও দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।
টিটি/এসএনআর/এএসএম