ডিবির দাবি

টুকু-নীরবের নির্দেশে মেট্রোরেলে হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৪
মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ/জাগো নিউজ

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সহিংসতায় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম দক্ষিণ বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন-ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক), ঢাবির বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বজলুল রহমান (বিজয়) ও ছাত্রদলের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি মো. ফেরদৌস (রুবেল)।

ডিবির দাবি, মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টারমাইন্ড ও সমন্বয়ক গ্রেফতার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তার সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাইফুল আলম নীরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়। এই হামলায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ অংশ নেন। এছাড়া দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনায় হামলার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের (মিশুক)।

টুকু-নীরবের নির্দেশে মেট্রোরেলে হামলার সমন্বয় করেন ছাত্রদল নেতা

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেল আজ বন্ধ। ১৯ জুলাই কোটা আন্দলোন কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা মিরপুর-১০ নম্বর এবং কাজীপাড়া স্টেশনে অগ্নি সংযোগ করে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছি।

মেট্রো স্টেশনে হামলার মাস্টারমাইন্ড ও নেতৃত্বদাতা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু হান্নান। হান্নান তার সহযোগীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরবের নির্দেশনায় মেট্রো স্টেশনে আগুন দেয়।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, এই ঘটনায় আরও দুজন নেতার নাম প্রকাশ করেছে আবু হান্নান। যাদের মধ্যে বিএনপি নেতা শ্রাবন আগেই গ্রেফতার হয়েছে। মেট্রো স্টেশনে হামলায় বিএনপির চার-পাঁচজন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেট্রো স্টেশনে আগুন দিয়ে ধবংস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষ যেনো মেট্রোতে আর চলাচল করতে না পারে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল স্টেশনে আগুন ও দায়িত্বরত পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেকের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে ডিবি অভিযান চালাচ্ছে।

অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সহকারীকে মেরে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। একজন পথচারীকে পুলিশ ভেবে মেরে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে এমন বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা বাংলাদেশের উন্নয়নের পক্ষের কোনো লোক না। তারা দেশকে অকার্যকর করতে অপচেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে মনে করছে ঢাকা ছেড়ে পালিয়ে বেঁচে যাবেন। সেটা হবে না। মামলা হয়েছে। ডিবি তদন্ত করছে। আমরা জড়িত কাউকে ছাড় দেবো না।

এক প্রশ্নের জবাবে হারুন জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ঘিরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। এই আন্দোলনে স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করে এবং হামলা চালায়। এই সব কিছুই পরিকল্পিত। এসব ঘটনায় ইন্ধনদাতা, অস্ত্রদাতাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

টিটি/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।