পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্দোলনে জঙ্গিগোষ্ঠীর এজেন্ট ঢুকেছে কি না খোঁজ নেওয়া দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২৪
জাতীয় প্রেস ক্লাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আন্দোলনে ছাত্রনেতাদের মধ্যে দেশবিরোধী অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠীর কোন এজেন্ট ঢুকেছে কিনা সেটি খোঁজ নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে এক হাজারের বেশি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লা পরিস্কার করার গাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমি রাষ্ট্রদূতদের ধ্বংসযজ্ঞ দেখানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। ইতালিয়ান রাষ্ট্রদূত নিজে বলেছেন 'ইটস সেইম'। তার আইডি হ্যাক করা হয়েছে, বিভিন্ন রাষ্ট্রদূতের আইডি হ্যাক করা হয়েছে। রাষ্ট্রের ওপর এই হামলা তারেক রহমানের নির্দেশে হয়েছে। ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা, পুলিশ মারলে ১০ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছে বলেও শুনেছি। সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নির্দেশ দিচ্ছেন তাদের তরুণ নেতাকর্মীদের যে, এখানে ঢুকে পড়ো। তারেক রহমান নির্দেশ দিচ্ছেন সেই অডিও রেকর্ড সরকারের কাছে আছে যে কারফিউ ভাঙো না হয় পদত্যাগ করো।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গতবছরের ২৮ অক্টোবর যারা ঢাকায় অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যে জড়িত ছিল তাদের বড় বড় পদ দেওয়া হয়েছে। এবারও বলে দেওয়া হয়েছিল যারা এ ধরনের কাজ করবে, অগ্নিসংযোগ করবে, মানুষ মারবে, পুলিশ মারবে, ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে তাদের বড় বড় পদ দেওয়া হবে। এটি কোন রাজনৈতিক দল? এটি একটি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ছাত্রনেতাদেরও খোঁজ নেওয়া দরকার তাদের মধ্যে দেশবিরোধী অপশক্তি জঙ্গিগোষ্ঠীর কোন এজেন্ট ঢুকেছে কিনা। মৃত্যু নিয়ে নানান গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের পিএসকে মেরে পিটিয়ে সেই লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে ছয়তলা ভবন থেকে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগের কর্মীদের ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। একজন পুলিশ বাসায় ছিল তাকে ডেকে এনে পিটিয়েছে। আরেকজন পুলিশ আহত হয়ে হাসপাতালে ঢুকেছে তাকে জোর করে বের করা হয়েছে, জানি না সে বেঁচে আছে কিনা। প্রত্যেকটি ঘটনার তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে, সেই প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, কোটা নিয়ে যে সমস্যা সেটি সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা চেয়েছে তার চেয়ে বেশি পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটা ৫ শতাংশ থাকলেও আমার ধারণা এক থেকে দেড় শতাংশ পূরণ হবে, তাহলে বাকিটা মেধায় যাবে। আরেকটি বিষয় পরিস্কার হওয়া দরকার কোটা থাকলেও সবাইকে মেধার ভিত্তিতে শেষ ধাপে যেতে হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান, সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

আইএইচআর/এসআইটি/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।