উত্তরা-বাড্ডায় সংঘর্ষে নিহত তিন, আহত কয়েক শতাধিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৯ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৪

রাজধানীর উত্তরা ও বাড্ডা এলাকায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে কোটা আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড্ডার এএমজেড হাসপাতালে মাথায় গুলির আঘাত নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন একজন।

সরেজমিনে উত্তর বাড্ডা এলাকার এএমজেড হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালের ইমারজেন্সি রুমের সামনে আহত কিছু শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন হাসান নামের একজন। তাকে বাঁচানোর আকুতি নিয়ে হাসপাতালের সামনে ছোটাছুটি করছিলেন তার এলাকার বড় ভাই জহিরুল। তিনি বলেন, ‘ছেলেটার অবস্থা খুব খারাপ। আমরা তাকে ঢামেকে নিয়ে যেতে চাই। যদি বাঁচানো যায়।’

রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ ও র‍্যাবের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘নিহতদের একজনকে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। শুধু এটুকু জানি। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের তা সঠিক বলতে পারবো না। তাকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল, এরপরও তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরা তাকে ঢামেকে নিয়ে গেছেন।’

এছাড়াও শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের তথ্যে জানা যায়, কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল হাসান একজন নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

এদিন সকাল থেকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশের গুলিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গাড়িচালক দুলাল মাতবর মারা গেছেন। তার ছেলে সোহাগ জাগো নিউজকে জানান, পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার পর তাকে ফরাজী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।

এএএম/কেএসআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।