রামপুরা থেকে গুলিস্তান সড়ক ফাঁকা, দোকানপাটও বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৯ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৪

ঢাকাসহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল ছিল একেবারে সীমিত। এতে অফিস ও কর্মস্থলগামী মানুষদের চরম ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এসব এলাকায় সড়কগুলোতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কোনো অবস্থান নেই। যানবাহন চলাচল একেবারেই কম। সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় চলাচল করছেন অনেকে। অফিসগামী যাত্রীদের দ্বিগুণ বা তারও বেশি ভাড়া গুনে মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। অনেককে পায়ে হেঁটেও চলাচল করতে দেখা যায়। অনেক সময় পর পর দু-একটি বাস এলেও তাতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।

রামপুরা থেকে গুলিস্তান সড়ক ফাঁকা, দোকানপাটও বন্ধ

সকাল থেকে এসব রুটে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও ছিল একেবারে কম। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, শাটডাউনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের আশঙ্কায় অনেকে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন না। কেউ ইচ্ছে করে ঝুঁকি নিতে চান না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না।

রামপুরা থেকে গুলিস্তান সড়ক ফাঁকা, দোকানপাটও বন্ধ

সকাল ১০টার আগ পর্যন্ত রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকার দোকানপাটও ছিল বন্ধ। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টুকটাক কিছু দোকান খুলতে দেখা গেছে।

কাকরাইলের জমজম কার শোরুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, শোরুমে অনেক দামি মালামাল রয়েছে। ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ হলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এ আশঙ্কায় শোরুম খোলা হয়নি। আশপাশের শোরুমগুলো খুললে তারা খুলবেন।

এনএইচ/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।