ফেসবুক-টিকটক-ইউটিউবকে শেষ হুঁশিয়ারি পলকের
ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বাংলাদেশে অবাধে ঘৃণা ও সহিংসতামূলক কনটেন্ট ছড়াচ্ছে জানিয়ে তা বন্ধে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘আমি শেষবারে মতো হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। যদি তারা বাংলাদেশের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় না নেয়, আমাদের কথা না শোনে, তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আমরা বাধ্য হবো।’
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও আমরা আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না। তারা কেউ দুবাই, কেউ সিঙ্গাপুরে অফিস খুলে বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন। প্রয়োজনের সময়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
‘সেজন্য তাদের ঢাকায় অফিস খুলতে বলেছি। তা না করলে আর্থিক জরিমানা করা হবে। তারা বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, সেটার ক্ষেত্রে আর্থিক স্বচ্ছতা আছে কি না, বিজ্ঞাপনের যে টাকা নিয়ে যাচ্ছে, তা বৈধভাবে নিচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে। যদি তারা অবৈধভাবে এগুলো করে আন্তর্জাতিক নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
- আরও পড়ুন
সহযোগিতা না করলে ফেসবুক-ইউটিউবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পলক
এআই দিয়ে বানানো ছবি লেবেল না দিয়ে ব্যবহার বেআইনি: পলক
বুধবার (১৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে হোটেল আমারিতে আয়োজিত সেমিনার শেষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সম্প্রতি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত ক্ষোভ, ঘৃণা ও সহিংসতামূলক কনটেন্ট লক্ষ্য করছি। সবাইকে অনুরোধ আপনাদের আবেগটা যেন বিবেকের সঙ্গে প্রকাশ করা হয়। যেন আমাদের সন্তান, ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন নিরাপদে থাকে।
তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ঘিরে দেশে গতকাল ছয়টা প্রাণ ঝরে গেলো। তা নিয়ে ফেসবুক বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর কোনো প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতি আছে বলে মনে হয় না। তারা শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থটা দেখছেন। বাংলাদেশের নাগরিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে, সেটা তারা খেয়াল করছে না। আমরা তাদের সবসময় বিভিন্ন বার্তা দিয়েও আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না।
এএএইচ/এমআরএম/জেআইএম