স্লোগান তুললেন আইনমন্ত্রী

‘তুমি কে, আমি কে, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২০ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্য ঘিরে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘আমি কে, তুমি কে; রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’। এ স্লোগান ঘিরে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। পাল্টাপাল্টি স্লোগানও দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

এবার বক্তব্য শেষ করে নতুন স্লোগান দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য শেষে মন্ত্রী স্লোগান দেন, ‘তুমি কে, আমি কে; আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাঙালি’। তার স্লোগানের সুরে সুর মেলান অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যরাও। কয়েক মিনিট ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ স্লোগান চলে।

সচরাচর কোনো অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। তবে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের স্লোগান নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের পর নতুন করে ‘তুমি কে, আমি কে; আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ স্লোগানও দিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম। এ সেমিনারে এমন পরিস্থিতির অবতারণা হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব ও কলামিস্ট হায়দার মোহাম্মদ জিতু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী কোটা সংস্কার দাবিতে রাজপথে যত আন্দোলন-সংগ্রাম করা হোক না কেন, সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে সরকার কিছুই করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

তিনি বলেন, ‘কোটা রাখা না রাখা নিয়ে একটা প্রশ্ন সামনে এসেছে যে, এটা তো সরকারের ব্যাপার, আদালতের ব্যাপার না। আমরা আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। আমরা সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবো এবং বাস্তবায়ন করবো। যতই আন্দোলন হোক সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটাবো না, কিছু করবোও না।’

এএএইচ/এসএনআর/জিকেএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।