অটোরিকশা চলাচলের জন্য রাস্তা নির্ধারণের কাজ চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৪

ঢাকার প্রধান সড়কে অটোরিকশা চালকদের চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। তবে তারা ভুল ধারণায় মাঝে-মধ্যে মূল সড়কে চলে আসছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, প্রধান সড়কে তাদের চলাচলের অনুমতি নেই। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নির্দিষ্ট কিছু ছোট ছোট রাস্তায় চালানো যাবে। ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি অটোরিকশাসহ স্বল্প গতির যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তা নির্ধারণের কাজ চলছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা মহানগর এলাকার জনগণের ট্রাফিক নির্দেশনা সংক্রান্ত ট্রাফিক বিভাগের মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান।

ইদানীং অটোরিকশা রাজধানীর মূল সড়কে উঠছে। তাদের লাগাম টেনে ধরার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অটোরিকশা চালকদের মধ্যে একটা ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। মূল সড়কে তাদের চলাচলের কোনো ধরনের অনুমতি নেই। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নির্দিষ্ট কিছু ছোট ছোট রাস্তায় চালানো যাবে। মূল সড়কে কখনোই চলাচল করা যাবে না।

আমরা ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তাদের সচেতন করছি। পাশাপাশি অটোরিকশাসহ স্বল্প গতির যানবাহন চলাচলের জন্য রাস্তায় নির্ধারণের কাজ চলছে। বিশেষ করে রাজধানীর মূল সড়কে স্বল্প গতির কোনো যানবাহন চলবে না। সেজন্য পুলিশের অন্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্নয় ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে করা হচ্ছে।

অটোরিকশা চলাচলের জন্য রাস্তা নির্ধারণের কাজ চলছে

যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এই সপ্তাহে তিনটি পরীক্ষা আছে। পাশাপাশি রোববার (১৪ জুলাই) সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবস। প্রথম কর্ম দিবসে সড়কে চলাচল বেড়ে যায়, এটিও আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও ১৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা। এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা রাস্তায় বের হবেন। পাশাপাশি ১৭ জুলাই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের আশুর উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল আছে।

এই সময়টাতে যানজট বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনও চলছে। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে যে চ্যলেঞ্জ এগুলো সামনে রেখে ট্রাফিকের প্রত্যেক বিভাগের ডিসি তাদের মতো করে ট্রাফিক ম্যনেজমেন্টের ক্ষেত্রে জনভোগান্তি যেন কমানো যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ চলছে।

শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোটা আন্দোলনের নামে জনভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। পুলিশ সব সময় বলে কেউ জনভোগান্তি করলে আইন প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগ না করে জনভোগান্তি বাড়ানো হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাফিকের এই কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা ৮টি ডিভিশনের ভেতরে সমন্বয় করে। পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের সঙ্গে টিম ডিএমপি একযোগে কাজ করে। সব সময় চেষ্টা করা হয় মানুষের গমনাগমনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি যত কমানো যায়।

ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের চ্যলেঞ্জ মোকাবিলা করি। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এটিও আমাদের জন্য চ্যলেঞ্জ। সামগ্রিকভাবে ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্য মানুষের ভোগান্তি লাঘবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

টিটি/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।