৩ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি, বিভিন্ন সড়কে হাঁটুপানি
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা রাজধানীজুড়ে ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। এই তিন ঘণ্টায় ঢাকায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।
টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মৌচাক, মালিবাগ মোড়, শান্তিনগর মোড়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকার অলিগলিতে হাঁটুসমান পানি।
আরও পড়ুন
- একটুখানি বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় ঢাকা
- ঢাকার রাস্তায় আমাদের পানিতে ডুবে মরতে হবে?
- এবার বর্ষায় ঢাকা দক্ষিণে জলাবদ্ধতা হবে না: তাপস
শান্তিনগর, মৌচাক এলাকার প্রধান সড়কে রয়েছে কোমরসমান পানি। ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।
আজ সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিন হলেও বেসরকারি চাকরিজীবী কিংবা খেটে খাওয়া মানুষ যারা জীবিকার টানে ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে। বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন কমই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন
- সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি ঢাকায়
- ঝুম বৃষ্টিতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, নগরবাসীর ভোগান্তি
- ৫ বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে, ২ বিভাগে ভূমিধস
রাজধানীর ওয়ারলেস গেটের বাসিন্দা মুজাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, হাঁটুসমান পানির ওপর দিয়ে মেইন রোডে এসেছি বাচ্চার জন্য ওষুধ নিতে। রাস্তায় ভয়াবহ অবস্থা। এই পানি কখন নামবে জানি না। নোংরা পানিতে পা চুলকাচ্ছে।
রিকশাচালক শাহেদ হাসান বলেন, কোমরসমান পানি থেকে রিকশাটা নিয়ে কোনোমতে মগবাজার এসেছি। ওইদিকে ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায় না। বৃষ্টিতে মানুষ নেই, দু-একটা ভাড়া পেলেও হাঁটুপানি দিয়ে রিকশা চালাতে পারি না। শরীর আর পা চলে না।
ওয়ারলেস রেলগেট মোড়ে কথা হয় চা দোকানি আসেম মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা নিম্নআয়ের মানুষ, কোনোমতে ছাউনির ভেতর বসে আছি। দুই ঘণ্টা ধরে পানি ছিল, এখন কিছুটা কমেছে। সকাল থেকে কাস্টমার নেই। বেচাবিক্রি নেই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় এখন সারাদেশে যে কোনো মুহূর্তে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার ভারী বর্ষণের সতর্কবাণী দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। দেশের পাঁচ বিভাগে ভারী বর্ষণের সঙ্গে দুই বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানায় সংস্থাটি।
আরএএস/এসএনআর/এমএস