পিএসসির প্রশ্নফাঁস ‘ভীষণ কঠিন’, দাবি চেয়ারম্যানের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৪০ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৪
নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন

বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস যে হয়নি, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেন না বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তবে পিএসসি থেকে প্রশ্নফাঁস করা ‘ভীষণ কঠিন’ এবং তার কারণও জানিয়েছেন সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘লটারিতে কোন সেট আসবে, সেটা তো শুধু সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে প্রশ্নফাঁস খুবই কঠিন। তবে প্রশ্নফাঁস যে হয়নি বা হতে পারে না, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমি এটুকু বলবো, এটা (প্রশ্নফাঁস) করা ভীষণ ভীষণ কঠিন।’

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে পিএসসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন থেকে কেন্দ্রে পৌঁছানোর প্রক্রিয়াও তুলে ধরেন তিনি।

আরও পড়ুন

সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘পিএসসির অধীনে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ‍যিনি তৈরি করেন, তার পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন থাকে। অনেক সময় তারা প্রশ্নপত্র তৈরি করে সরাসরি, অনেক সময় ডাকযোগে পিএসসিতে পাঠান। সেটা সিলগালা করা থাকে। ১০ জনের কাছ থেকে প্রশ্ন পাওয়ার পর একদিন আমরা প্রশ্নপত্র মডারেশনের জন্য বৈঠক ডাকি। গোপন কক্ষে সিলগালা করা সেই প্রশ্ন খোলা হয়। সেখানে মডারেশনের কাজ শেষে আবারও সিলগালা করে বের করা হয়। সেখান থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় প্রশ্ন প্রেসে যায়। প্রেস থেকে আসার পর পুলিশ প্রহরায় একটি কক্ষে তালাবদ্ধ রাখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেদিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সেদিন দুজন বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে এখানে (পিএসসি) লটারি হয়। সকাল ১০টায় পরীক্ষা হলে ৯টা ২০ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিটে লটারি করে ৯টা ৩০ মিনিটে কেন্দ্রে জানাতে হয়। বিসিএসের ক্ষেত্রে ছয় সেট থেকে একটি সেট লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়। আর নন-ক্যাডার বা দশম গ্রেড ও তার পরের গ্রেডগুলোর জন্য চারটি সেট থাকে, সেখান থেকে লটারিতে একটি নেওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় প্রশ্নফাঁস করাটা কঠিন।’

ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা দিয়ে প্রশ্নফাঁস প্রমাণ হয় না। আপনারা যে কেউ একটা মোবাইল ফোন আমাকে দেন। পাঁচদিন আগে একটা ছবি আপনি পোস্ট করেছেন, সেটা আমি আজ অনুষ্ঠিত একটা পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে বদলে দিতে পারবো। মনে হবে পরীক্ষার পাঁচদিন আগে এ প্রশ্নপত্রটা পোস্ট করা হয়েছে। এটা করা সম্ভব হবে। এ ধরনের ঘটনা দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, প্রমাণ করা যায় না।’

এএএইচ/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।