সর্বজনীন চক্ষু চিকিৎসাসেবা অর্জনে সমন্বিত পদক্ষেপের পরামর্শ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫০ এএম, ০৯ জুলাই ২০২৪

২০৩০ সাল নাগাদ সর্বজনীন চক্ষুসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ খাতের এনজিওগুলোকে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ এবং সহযোগিতামূলক পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন এ খাতের অংশীজনরা।

রাজধানীতে সোমবার (৮ জুলাই) এক অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত চক্ষুসেবাদানকারী সব সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আসার আহ্বান জানানো হয় যাতে সর্বজনীন চক্ষুসেবা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জোরদার করা যায়।

অংশীজনরা মতামত দেন, এ ধরনের পদক্ষেপ, পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা না নিলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সর্বজনীন চক্ষুসেবা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। কারন ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি নির্ধারিত সময়সীমার আর মাত্র সাড়ে পাঁচবছর বাকি আছে।

এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে চক্ষু স্বাস্থ্য বিষয়ক আইএনজিও ফোরাম ‘চক্ষু স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কর্মশালা-সর্বজনীন চক্ষু চিকিৎসাসেবা-২০৩০-এর পথে’ শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান চক্ষু স্বাস্থ্য খাতের জন্য তার বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিওগুলো চক্ষুসেবায় অনেক অবদান রাখছে, কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে এবং সরকারের ন্যাশনাল আই কেয়ার (এনইসি) এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সঙ্গে তাদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এমন সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাবে এনইসি এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরো চক্ষুসেবা বিষয়ক প্রয়োজনীয় উপাত্ত পায় না বলে জানান তিনি।

অন্ধত্ব প্রতিরোধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইএপিবি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ার অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. পীরজাদা সেব্রিনা ফ্লোরা, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের (এনইসি) লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা এবং চক্ষু স্বাস্থ্য বিষয়ক আইএনজিও ফোরামের চেয়ার এবং অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন।

এএইচ/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।