স্মার্ট এপিএআর শিগগির চালু হচ্ছে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
যোগ্য কর্মকর্তাকে সঠিক স্থানে পদায়নে প্রচলিত এসিআরের পরিবর্তে শিগগিরই কর্মপরিকল্পনাভিত্তিক স্মার্ট এপিএআর ব্যবস্থা চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে নির্মিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জেমস বাস্তবায়নের ফলে মানব-সম্পদ ব্যবস্থাপনা হবে স্মার্ট। জেমস-এর মাধ্যমে সরকারের শূন্য পদের তালিকা সহজেই পাওয়া যাবে। ফলে নিয়োগ ও পদায়ন প্রক্রিয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে।
মন্ত্রী বলেন, কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনায় প্রচলিত এসিআর সিস্টেমের পরিবর্তে কর্মপরিকল্পনাভিত্তিক স্মার্ট এপিএআর সিস্টেম শিগগির প্রবর্তিত হতে যাচ্ছে। ফলে যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে পদায়ন করা সহজ হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকারি কর্মচারীদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তার তথ্য-উপাত্ত এই সিস্টেম থেকে সহজেই পাওয়া যাবে। সোনার বাংলা গড়তে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বা গভর্নমেন্ট অ্যামপ্লয়ি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (জিইএমএস-জেমস) অধীনে অর্গানাইজেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ওএমএস) মাধ্যমে মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও আওতাধীন সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামো বা অর্গানোগ্রামের তথ্যাদি অন্তর্ভুক্তির জন্য আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গত ৫ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট ১৫টি ব্যাচে পাঁচ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের ৩০০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
আরএমএম/এমআইএইচএস/জিকেএস