থ্যালাসেমিয়া বাহক সবচেয়ে বেশি রংপুরে, কম সিলেটে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ০৭ জুলাই ২০২৪

দেশে থ্যালাসেমিয়া বাহকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রংপুরে ২৭ দশমিক ৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে আছে রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে চট্টগ্রামে ১১ দশমিক ২ শতাংশ। এছাড়া ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। খুলনা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ঢাকা ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। বরিশাল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। সিলেটে সব চেয়ে কম ৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

রোববার (৭ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ন্যাশনাল থ্যালাসেমিয়া সার্ভে ২০২৪’ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার এ তথ্য জানান।

প্রতিবেদন বলা হয়, দেশে জাতীয়ভাবে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বাহকের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং পুরুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। ১৪ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বিবাহিত ও অবিবাহিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। ৮ হাজার ৬৮০ জনের ওপর এ জরিপ করা হয়েছে।

এসময় জাতীয়ভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার ঠেকাতে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা প্রয়োজন। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে এ রোগ কমবে।

তিনি আরও বলেন, যখন মা তার শিশুকে নিয়ে আমাদের কাছে ছুটে আসেন কিছু সহায়তা করার জন্য। তখন আমাদের খুবই খারাপ লাগে। আমাদের এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে বিজ্ঞানকে বিশ্বাস করতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। অন্যথায় এক আল্লাহ ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব না। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

থ্যালাসেমিয়া বাহক সবচেয়ে বেশি রংপুরে, কম সিলেটে

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা লিজেন শাহ নঈম। বক্তব্য দেন বিবিএসের উপ-মহাপরিচালক ওবায়দুল ইসলাম।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে হেপাটাইসিস বি আক্রান্তের সংখ্যা এক দশমিক ২ শতাংশ এবং হেপাটাইসিস সি আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যস্থাপনা বিভাগের সচিব বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্মূল করা সম্ভব। যদি বাহক টু বাহক বিবাহ বন্ধ করা যায়। এজন্য একটা নীতিমালা থাকা দরকার।

স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই। আমরা সরকারি-বেসরকারি জেলা পর্যায়ে সব জায়গাতেই সচেতন থাকার চেষ্টা করি।

এমওএস/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।